নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ফ্রান্স শাখার নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত ৩০ জুন ছিল সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) জমা দেওয়ার শেষ দিন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে দুই ডজনের বেশি সিভি জমা দিয়েছেন, যা নিয়ে বিএনপির ফ্রান্স শাখায় বিরাজ করছে প্রবল উৎসাহ ও রাজনৈতিক উত্তেজনা।
দলের আন্তর্জাতিক শাখাগুলোতে পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় বিএনপি কর্তৃক ঘোষিত গাইডলাইন অনুসারে ফ্রান্স শাখায় এই কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রার্থীদের কাছ থেকে বায়োডাটা আহ্বান করা হয়, যেখানে তাদের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, অবদান, নেতৃত্বের দক্ষতা এবং সাংগঠনিক সক্ষমতা বিবেচনায় নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সিভি জমার শেষ দিন ছিল ৩০ জুনে এদিন সবচেয়ে বেশি সিভি জমা পরে । বিএনপির আন্তর্জাতিক শাখার দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন এর কাছে ইমেইল এর মাধ্যমে নেতারা তাদের সিভি জমা দেন। খোজ নিয়ে জানা গেছে, জমা দেওয়া সিভিগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রবাসী বিএনপির পরিচিত ও দীর্ঘদিনের নেতা রয়েছেন, যারা গত কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।
নতুন কমিটিতে জায়গা পাওয়া নিয়ে এখন চলছে আলোচনার ঝড়। কে হবেন আহবায়ক/সভাপতি, কে হবেন সদসয সচিব/সাধারণ সম্পাদক—এই দুটি পদ নিয়ে আলোচনাই সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি কমিটির অন্যান্য পদ নিয়েও রয়েছে চাপা প্রতিযোগিতা।
এদিকে কয়েকজন নেতা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর প্রভাব খাটিয়ে পদ বাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন বলেন, “যোগ্যতা ও বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে দলের জন্য সাংগঠনিক অবদানের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হবে। কোনো গোষ্ঠীগত চাপ এখানে প্রভাব ফেলবে না।”
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী চলতি মাসের মধ্যে নতুন কমিটির তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে সাক্ষাৎকার পর্ব হতে পারে, যেখানে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতারা ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকতে পারেন।
ফ্রান্স বিএনপি’র কমিটি দীর্ঘদিন ধরে পুনর্গঠনের অপেক্ষায় রয়েছে। ফ্রান্স বিএনপির নতুন কমিটি ঘিরে দলের অভ্যন্তরে যেমন রয়েছে আগ্রহ ও প্রত্যাশা, তেমনি রয়েছে বিভাজন ও প্রতিযোগিতা। অনেকে বলছেন, যোগ্য ও পরীক্ষিত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হলে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী স্বচ্ছ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা জরুরি। এখন দেখার বিষয়, একটি কার্যকর, গতিশীল ও ঐক্যবদ্ধ কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্রবাসে দলকে কতটা সুসংগঠিত করতে পারে বিএনপি।