নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের নাগরিকদের মৃত্যু অব্যাহত আছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে আরও ৭ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন। আর যুক্তরাজ্যে গত ৪৮ ঘণ্টায় আরও ১৯ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন। এর ফলে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ১৭৪ জন এবং যুক্তরাজ্যে ৭৯ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন।
আর সিঙ্গাপুরে ২হাজার ৯৬২ জন বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে প্রবাসী বাংলাদেশি ও কূটনৈতিক সূত্র এবং লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে আজ সোমবার এ তথ্য পাওয়া গেছে।
লন্ডন থেকে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে জানান, দুই-তিন দিন ধরে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। সোমবার পর্যন্ত অন্তত ৭৯ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে বড় অংশটি হচ্ছেন বৃহত্তর লন্ডনের। স্থানীয় বাংলাদেশ কমিউনিটি মারা যাওয়া ব্যক্তিদের স্বজন, স্থানীয় গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সূত্র থেকে এ সংখ্যার তথ্য পাওয়া গেছে।
ইতালির রোম থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান শিকদার প্রথম আলোকে জানান, এখন পর্যন্ত ইতালিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ৮ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন। এঁদের মধ্যে ৭ জন মিলানে এবং একজন রোমে মারা গেছেন। আর আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫ জনের মতো।
তবে ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মতে, দেশটিতে কয়েক শ বাংলাদেশি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হয়েছেন।
গত রোববার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, কানাডা, ইতালি, স্পেন, কাতার, সুইডেন, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কেনিয়া, লিবিয়া ও গাম্বিয়া—এই ১৩ দেশে ২৯৭ জন বাংলাদেশি করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মারা গেছেন। এঁদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইতালি বাদ দিলে সৌদি আরবে ১৫, কানাডায় ৬, স্পেনে ৫, কাতারে ৪ এবং সুইডেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কেনিয়া, লিবিয়া ও গাম্বিয়ায় ১ জন করে বাংলাদেশি মারা গেছেন।
এদিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে বিদেশিদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বেড়েই চলছে। এর সঙ্গে বাড়ছে বাংলাদেশের নাগরিকদের আক্রান্তের সংখ্যা।
সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত রোববার পর্যন্ত দেশটিতে ২ হাজার ৯৬২ জন বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। অবশ্য গতকাল এক দিনেই দেশটিতে নতুন করে আরও ১ হাজার ৪২৬ জন আক্রান্ত বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এঁদের মধ্যে ১৬ জন সিঙ্গাপুরের নাগরিক, বাকিরা বিভিন্ন দেশের। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আক্রান্তদের মধ্যে বাংলাদেশের নাগরিকদের সংখ্যা বেশি।