1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

সাত মুসলিম দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাতিল করবেন বাইডেন

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : সোমবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২১

নিউজ ডেস্ক: নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর প্রথম দিনই মুসলিমপ্রধান কয়েকটি দেশের ওপর ট্রাম্পের আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাতিল করতে পারেন। রোববার (১৭ জানুয়ারি) মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন-এর একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

জো বাইডেন প্রথম কার্যদিবসেই এক ডজনেরও বেশি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন বলে জানা গেছে। তার মধ্যে মুসলিমপ্রধান কয়েকটি দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আদেশ বাতিলের বিষয়টিও রয়েছে। তার মনোনীত হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ রন ক্লেইনের এক নথি থেকে জানা এ তথ্য জানা গেছে।

নথি থেকে জানা গেছে, ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনই বাইডেন বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশ জারি করতে পারেন। এর মধ্যে মুসলিম দেশগুলোর ওপর আরোপ করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সংশ্লিষ্ট আদেশ থাকতে পারে। এছাড়া প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেরা, করোনা ভাইরাস মহামারির সময় শিক্ষার্থীদের বিতাড়ন ও ঋণ স্থগিত সংক্রান্ত ট্রাম্পের আদেশ বাতিল, অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়গুলো থাকতে পারে।

আরো জানা গেছে, মেক্সিকোর সঙ্গে সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীদের সন্তানদের সঙ্গে মা–বাবার পুনর্মিলনের ব্যবস্থা করতেও পদক্ষেপ নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে ২০১৭ সালে ক্ষমতা গ্রহণের কিছুদিন পরই সাতটি মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। সেই দেশগুলো হলো- ইরান, ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, সুদান, ইয়েমেন ও সোমালিয়া।

এদিকে বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানদের মধ্যে দীর্ঘসময় ধরে থাকা বিভক্তির সমাধান করতে পরিকল্পনা নিয়েছেন। শিগগিরই কংগ্রেসকে দেশটির প্রায় ১১ মিলিয়ন মানুষকে আইনি মর্যাদা বা নাগরিকত্ব দেওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।

জো বাইডেন তার নির্বাচনী প্রচারণায় অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বাস করা প্রায় ১১ মিলিয়ন মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছিলেন। তবে তিনি করোনা ভাইরাস মহামারি মোকাবিলা, ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং অন্যান্য অগ্রাধিকারগুলোর পাশাপাশি এ বিষয়ে কত দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু উল্লেখ করেননি।

বাইডেনের এই নির্বাহী আদেশ সম্পর্কে ব্রিফ করা জাতীয় ইমিগ্রেশন আইন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মেরিলেনা হিনকাপি বলেন, এটি ট্রাম্পের অভিবাসীবিরোধী এজেন্ডার বিপরীতে সত্যিই এক ঐতিহাসিক পরিবর্তন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সব অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দেবে এটি।

যদি সফল হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের ৪০তম প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের ১৯৮৬ সালে প্রায় ৩০ লাখ অভিবাসীকে সাধারণ ক্ষমার আদেশ দেওয়ার পর এ আইনটি হবে দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাস করা মানুষদের মর্যাদা দেওয়ার সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ। তবে ২০০৭ ও ২০১৩ সালে ব্যর্থ হয় অভিবাসন নীতি বদলের আইনি প্রচেষ্টা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys