নিউজ ডেস্ক: সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের ২৪ জন চিকিৎসককে একযোগে বদলি করা হয়েছে। তাদের ১০ জনকে পদায়ন করা হয়েছে যশোর জেলা হাসপাতালে এবং ১৪ জনকে পদায়ন করা হয়েছে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে।
আগামী ৭ জুলাই এর মধ্যে পদায়নকৃতদের নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় পরদিন ৮ জুলাই পূর্বাহ্নে বর্তমান কর্মস্থল হতে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত হিসেবে গণ্য হবে। চিকিৎসকগণ করোনা ইউনিটে দায়িত্ব পালন করবেন।
গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব জাকিয়া পারভীন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ থেকে যশোরে জেলা হাসপাতালে বদলীকৃত চিকিৎসকরা হলেন-সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের ডা. মো. শরিফুজ্জামান, ডা. মো. আল মামুন হোসেন, ডা. প্রবীর কুমার দাশ, ডা. মো. মনিরুজ্জামান, ডা. মো. মোজাম্মেল হক, ডা. মো. শরিফুল ইসলাম, ডা. মো. সাইফুল ইসলাম, ডা. হোসনে আরা হোসেন, ডা. মো. সাইফুল্লাহ ও ডা. জিএম ফারুকুজ্জামান।
এছাড়া সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ থেকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে বদলিকৃত ১৪ চিকিৎসক হলেন-ডা. শেখ আবু সাঈদ, ডা. ফারহানা হোসেন, ডা. মোছা. খসরুবা পারভীন, ডা. সুতপা চ্যাটার্জি, ডা. মো. শামছুর রহমান, ডা. মো. ইনামুল হাফিজ, ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম, ডা. মো. ফকরুল আলম, ডা. নাসরিন সুলতানা, ডা. মো. নাছিরউদ্দিন গাজী, ডা. শেখ নাজমুস সাকিব, ডা. ফাহমিদা জামান, ডা. মেহনাজ নাজরীন, ডা. উপমা গুহ রায়, ডা. মো. আনিসুর রহমান ও ডা. শরিফা জামান।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মনোয়ার হোসেন দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ থেকে করোনা চিকিৎসার জন্য যে সমস্ত চিকিৎসককে যশোর জেলা হাসপাতালে বা সদর হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে তাদেরকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ইউনিটে চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দিতে পারত। সেটা সাতক্ষীরার জন্য ভালো হতো। ’
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. রুহুল কুদ্দুস জানান, সাতক্ষীরায় করোনার এই সংকটময় মূহূর্তে এত সংখ্যক চিকিৎসককে একযোগে বদলি করায় সাতক্ষীরা মেডিকেলের চিকিৎসাব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। আইসিইউ বন্ধ হয়ে যাবে। পিসিআর টেস্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসককেও বদলি করা হয়েছে। এজন্য পিসিআর ল্যাবও বন্ধ হয়ে যাবে। ২৪ জন চিকিৎসককে এখান থেকে বদলি করা হলেও তার বিপরীতে এখনও পর্যন্ত কাউকে পদায়ন করা হয়নি।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কুদরত-ই-খোদা বলেন, ‘যাদের বদলি করা হয়েছে তারা মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি হাসপাতালেও দায়িত্বপালন করেন। তাদের দায়িত্ব পালনের রোস্টারসহ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত এ বদলির আদেশ বাতিল হবে।’