নিউজ ডেস্ক: সরকারের দেওয়া কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে আগামী রোববারও ব্যাংক বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে সীমিত পরিসরে আগামী এক সপ্তাহের জন্য ব্যাংক লেনদেনের সময় বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে বলা হয়, ৮ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ব্যাংকিং লেনদেন চলবে। আর ব্যাংক খোলা রাখা যাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ ছাড়া সময়সীমার বাইরে আগের দেওয়া নির্দেশনা বহাল থাকবে।
এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অত্যাবশ্যকীয় বিভাগগুলো যথাসম্ভব সীমিত লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখতে হবে। ব্যাংকের প্রিন্সিপাল বা প্রধান শাখা এবং সব বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা সীমিতসংখ্যক অত্যাবশ্যকীয় লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখতে হবে।
এদিকে, দেশের সকল তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী বরাবর বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ সাইট সুপারভিশন-ডিওএস থেকে জারি করা সার্কুলেশনে বলা হয়েছে, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অত্যাশকীয় বিভাগসমূহ, যথাসম্ভব সীমিত লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখতে হবে। ব্যাংকের প্রিন্সিপ্যাল বা প্রধান শাখা এবং সকল বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা (এডি শাখা) সীমিত সংখ্যক অত্যাবশ্যকীয় লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখতে হবে।
রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকসমূহের ক্ষেত্রে ব্যাংক ব্যবস্থাপনা বিবেচনায় প্রতিটি জেলা সদর ও উপজেলায় একটি করে শাখা খোলা রাখা যাবে। আর অন্য সকল ব্যাংকের ক্ষেত্রে জেলা সদরে একটি শাখা খোলা রাখতে হবে এবং জেলা সদরের বাইরে ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় অনধিক দুটি শাখা খোলা রাখা যাবে। কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে। এটিএম বুথে সার্বক্ষণিক পর্যাপ্ত নোট সরবরাহসহ সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, বিধিনিষেধ চলাকালে নিম্নোক্ত ব্যাংকিং সেবা চালু রাখতে হবে। গ্রাহকদের হিসাবে নগদ বা চেকের মাধ্যমে অর্থ জমা ও উত্তোলন, ডিমান্ড ড্রাফট বা পে-অর্ডার ইস্যু ও জমা গ্রহণ, বৈদেশিক রেমিট্যান্সের অর্থ পরিশোধ, সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের আওতায় প্রদত্ত ভাতা বা অনুদান বিতরণ, একই ব্যাংকের খোলা রাখা বিভিন্ন শাখা ও একই শাখার বিভিন্ন হিসাবের মধ্যে অর্থ স্থানান্তর, ট্রেজারি চালান গ্রহণ, অনলাইন সুবিধা সম্বলিত ব্যাংকের সকল গ্রাহকের এবং উক্ত সুবিধা-বহির্ভূত ব্যাংকের খোলা রাখা শাখার গ্রাহকদেরকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমস বা ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্য লেনদেন সুবিধা প্রদান এবং জরুরি বৈদেশিক লেনদেন সংক্রান্ত কার্যাবলী।
সমুদ্র/স্থল/বিমানবন্দর এলাকায় (পোর্ট ও কাস্টমস এলাকা) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা বা উপশাখা বা বুথসমূহ সার্বক্ষণিক খোলা রাখার বিষয়ে ৫ আগস্ট ২০১৯-এ জারিকৃত ডিওএস সার্কুলার লেটার নং-২৪ অনুসারে স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর বা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাক্রমে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিতপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিধিনিষেধ চলাকালে যেসব শাখা বন্ধ থাকবে সেসব শাখার গ্রাহকসেবা কার্যক্রম খোলা রাখার জন্য শাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বন্ধকৃত শাখার গ্রাহক সেবাপ্রাপ্তির বিষয়ে অবহিত করতে ওই শাখার দৃশ্যমান স্থানে তা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রদর্শন নিশ্চিত করতে হবে।