নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন।
করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক অগ্রগতি স্লথ হলেও সব বাধা অতিক্রম করে দেশ এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যেভাবে অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করছিল, আমাদের প্রত্যাশা ছিল ২০২০ সালে মুজিব বর্ষ এবং ২০২১ সালে দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সময় আমরা দারিদ্র্যের মাত্রা হ্রাস করে দেশকে একটি উচ্চ মর্যাদাপূর্ণ স্তরে নিতে সক্ষম হব। কিন্তু করোনার কারণে অগ্রগতির গতি কিছুটা ধীর হয়ে গেছে।’
মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কোভিড-১৯ স্থায়ী হবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সকল বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে সক্ষম হব।’
দেশের মানুষ যাতে কষ্ট না পান সে জন্য সকলকে উপযুক্ত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার জন্য নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সব সময় তাদের জন্য চিন্তা করি।’
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে কেবল বাংলাদেশই নয় গোটা বিশ্বই স্থবির হয়ে গেছে এবং প্রতিটি দেশই এই মারাত্মক ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড খুব সুপরিকল্পিতভাবে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করছিলাম, নিয়মিত বৈঠকের মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রকল্পগুলো অনুমোদন করছিলাম এবং সেগুলো বাস্তবায়ন করছিলাম, ফলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি লাভ করছিল।’
তবে, কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বজুড়ে সব কিছু স্থবির হয়ে পড়েছে এবং সর্বত্র একই জিনিস ঘটছে।
এসময় নিজেদের এবং নিকটতম প্রিয়জনদের পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সুরক্ষার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা অনুসরণ করার জন্য আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা অন্যকে (কোভিড-১৯) রোগ থেকে বাঁচাতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করব।’
দেশে ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক ও অন্যান্য কার্যক্রম খোলার বিষয়ে বলেন সরকার প্রধান বরেন, দেশের সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যাতে সাধারণ মানুষ চলতে পারে এবং তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।’
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দুই মাস বন্ধ থাকার পর সরকার গত রোববার থেকে সব সরকারি ও বেসরকারি অফিস চালুর ঘোষণা দিয়েছে এবং স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে সোমবার থেকে গণপরিবহন চালুরও অনুমোদন দিয়েছে।
ইউএনবি