নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমির হিফজ বিভাগের এক শিশু শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক মাওলানা ইয়াহিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ইয়াহিয়া হাটহাজারী সদরের মারকাযুল ইসলামিক একাডেমি নামের হাফেজি মাদ্রাসার শিক্ষক। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা এলাকার মোহাম্মদ ইউনুসের ছেলে।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, শিশুটিকে বাবা বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলা করেছেন। তারা প্রথমে মামলা করতে রাজি না হলেও পরে বুঝিয়ে রাজি করানো হয়। এই মামলায় মাদ্রাসার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে।
সূত্র জানায়, শিশুটির জন্মদিন ছিল মঙ্গলবার। এ উপলক্ষে তাকে দেখতে বিকেলে তার মা মাদ্রাসায় আসেন। তার মা চলে যাওয়ার সময় অবুঝ শিশুটি মায়ের পিছু পিছু কিছুটা দূর চলে যায়। এতেই শিক্ষক ইয়াহিয়া রেগে ইয়াসিন ফরহাদকে নির্দয়ভাবে পেটায়। পেটানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
মারধরের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন ওই মাদ্রাসায় যান। একই সঙ্গে শিশুটির মা-বাবাকে খবর দেওয়া হয়। শিশুটির মা-বাবা প্রথমে মামলা না করে বরং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর চিঠি দিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিতে আবেদন করেন। ফলে রাত সাড়ে ৪টায় ওই শিক্ষকের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে শিশুটির মা-বাবার জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয় প্রশাসন।
শিশুটির বাবা মোহাম্মদ জয়নাল জানান, তার সন্তানকে মারধরের ঘটনায় তিনি ও তার স্ত্রী অত্যন্ত কষ্ট পেয়েছেন। কিন্তু শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে চান না। তিনি বলেন, ছেলেকে হাফেজী পড়াতে চাই আমরা, সে তো ওইখানে পড়বে, তাইলে মামলা করে কী হবে? উল্টা শিক্ষকের জীবনটা নষ্ট হবে।