নিউজ ডেস্ক: কম খরচে মাদ্রাসায় ভর্তি করার কথা বলে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গোপন কক্ষে দুই মাস আটকে রাখে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারনের অভিযোগে শিক্ষক আসাদুজ্জামানকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গাজীপুরের দক্ষিণ সালনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি খুলনা জেলার কসবা উপজেলার উত্তর বেতকাশি গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। র্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ভিকটিমের পরিবারকে ফুসলিয়ে গত ২ আগস্ট ভিকটিমকে গাজীপুর মহানগরের দক্ষিণ সালনা এলাকা থেকে শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের ধলাদিয়া এলাকায় নিয়ে আসে। ওই শিক্ষক ভিকটিমকে ধলাদিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি না করে ওই এলাকার একটি গোপন কক্ষে আটকে রাখে। ভিকটিম ও তার বাবার জীবননাশের হুমকি দিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারন করে।
পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা বিভিন্ন সময় ওই মাদ্রাসার শিক্ষকের মোবাইল ফোনে তার মেয়ের খোঁজখবর জানতে চাইলে শিক্ষক জানায় তার মেয়ে ভালো আছে এবং লেখাপড়া নিয়ে অনেক ব্যস্ত আছে।
প্রায় তিন মাস চলে যাওয়ার পর মেয়ে বাড়িতে না আসায় বাবার সন্দেহ হলে মেয়েকে দেখার জন্য ধলাদিয়া মহিলা মাদ্রাসায় গিয়ে মেয়ের খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ওই মাদ্রাসায় তার মেয়েকে ভর্তি করানো হয়নি। ওই শিক্ষক তার মেয়েকে ধলাদিয়া এলাকার একটি গোপন কক্ষে আটক করে জীবননাশের হুমকি দিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে আসছে।
পরে বাবা মেয়েকে উদ্ধারের জন্য র্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে এবং আইনগত সহযোগিতা চায়। র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে গাজীপুরের দক্ষিণ সালনা এলাকা থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।
পরে তার দেয়া তথ্যর ভিত্তিতে শ্রীপুর উপজেলার ধলাদিয়া এলাকার একটি তালাবদ্ধ গোপন ঘর থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে র্যাব। অভিযুক্ত ওই শিক্ষক ধলাদিয়া মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন এবং তার স্ত্রী ও দুইটি ছেলে রয়েছে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।