নিউজ ডেস্ক: ম্যাচের ১০ মিনিটে বদলি হিসেবে নেমে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দিলেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ইতিহাস সৃষ্টির পথে নেপালের বিপক্ষে ১-০ গোলে এগিয়ে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
নেপালের কাঠমন্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সাফে প্রথম শিরোপার লক্ষ্যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও নেপালের মেয়েরা। এর আগে পাঁচ আসরের সবকটি জিতেছে ভারত।
এদিন ম্যাচ শুরুর প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিতে থাকে বাংলাদেশ। প্রতি আক্রমণে নেপালও হানা দিয়েছে সাবিনাদের রক্ষণভাগে। কিন্তু বৃষ্টিভেজা মাঠে পাস ঠিক ঠাক না এগোনোয় উভয়পক্ষই বার বার বল হারাচ্ছিল। ম্যাচের ১০ মিনিটে সিরাত জাহান স্বপ্নাকে তুলে মাঠে নামানো হয় শামসুন্নাহার জুনিয়রকে।
মূলত আগের ম্যাচে কিছুটা চোট পাওয়ায় নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামার পর স্বপ্নার মধ্যে ফিটনেস ঘাটতি দেখা যাচ্ছিল। যার কারণে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন তাকে তুলে নেন। কোচের সিদ্ধান্তের প্রমাণ দিতে খুব বেশি সময় নেননি শামসুন্নাহার। ম্যাচের ১৪ মিনিটে মণিকা চাকমার বাম কর্নার থেকে পাঠানো উঁচু শট পায়ের আলতো ছোঁয়ায় জালবন্দি করেন এ তরুণ ফরোয়ার্ড।
এর আগে ২০১৬ সাফের ফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। শিলিগুড়ির সেই ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় লাল-সবুজের দলের। এতদিন পর্যন্ত নারী সাফের ইতিহাসে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য এটি। ২০১০ সাল থেকে শুরু হওয়া সাফের প্রতিটি আসরে খেলা বাংলাদেশ একবার রানার্স-আপ ছাড়াও ৩ বার সেমিফাইনাল এবং একবার গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেয় । তবে এবার আর শিরোপা হাতছাড়া করতে চায় না সাবিনা-সানজিদারা। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তারা।
চলতি সাফে সর্বোচ্চ গোল বাংলাদেশের। গ্রুপপর্ব ও সেমিফাইনাল মিলিয়ে চার ম্যাচে সাবিনা-স্বপ্নারা গোল করেছেন ২০টি। হজম করতে হয়নি একটিও। এছাড়া টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোল স্কোরারও বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। ৮ গোল নিয়ে সবার শীর্ষে আছেন তিনি।
তবে দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েদের ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ তো বটেই, কোনো ম্যাচেই নেপালকে এখনো পর্যন্ত হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ ম্যাচে হার ৬টিতেই, ড্র দুটি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-নেপাল ফাইনাল লাইভ দেখবেন যেখানে
সবশেষ দেখায় ২০১৯ সালে সাফের সেমিফাইনালে নেপালের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। গত বছর সেপ্টেম্বরে নেপালে এসে খেলা দুই ম্যাচের একটিতে ছিল ২-১ ব্যবধানের হার, অন্যটি হয়েছিল গোলশূন্য ড্র।
তবে ফাইনালের লড়াইয়ের আগে বাংলাদেশের অনুপ্রেরণা ভারত। এর আগের পাঁচ আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে প্রথমবারের মতো হারিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতও ছিটকে গেছে সেমিফাইনাল থেকেই।