নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার নাম আসার পর শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। অভিযোগ ওঠার পর তা নিয়ে ক্ষোভের মুখে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে রাজাকারের তালিকা সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তবে সদ্য প্রকাশিত বিতর্কিত এ তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম উঠে আসলেও নেই সাকা চৌধুরীসহ অনেকের নাম। সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। ২০১৫ সালের নভেম্বরে বিএনপির এ নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।
এদিকে তালিকায় নোয়াখালীর যে ২৫ রাজাকারের নাম প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া রাজাকার আমির আলীর নাম ওঠেনি। কক্সবাজারের পাঁচজনের তালিকার কাউকেই চেনেন না স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।
তালিকায় রয়েছে মহেশখালীর দুই রাজাকার আইয়ুব হোসেন মণ্ডল ও আলতাফ হোসেনের নাম। তাদের নামের পাশে মন্তব্যের ঘরে লেখা হয়েছে ‘মামলা প্রত্যাহার।’ তবে মহেশখালীতে এ নামে কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এছাড়াও তালিকায় প্রকাশিত টেকনাফের দুই রাজাকার আবদুল জলিল ও আবু বক্করের নামে কারো পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি বলে জানা গেছে।
এদিকে তালিকা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আমরা নিজেরা কোনো রাজাকারের তালিকা প্রস্তুত করিনি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যে তালিকা করেছে, আমরা শুধু তা প্রকাশ করেছি। সেখানে কার নাম আছে, আর কার নাম নেই সেটা আমরা বলতে পারব না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যাচাই-বাছাই না করেই রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যার কারণেই এই ভুল হয়েছে। দালাল আইনে রাজাকারদের যে তালিকা ছিল, তা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে অনেকের নামের পাশে নোট ছিল, কারো নামে মামলা ছিল, সে বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই না করেই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এজন্যই এমন অসঙ্গতি।
বুধবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজাকারের তালিকায় ভুল-ত্রুটি নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীও এ তালিকা নতুন করে যাচাই-বাছাই করে সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং এটি নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন নেই।