1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন

রাজধানীর ৭১ শতাংশ সরকারি হাসপাতালে অবাধে ধূমপান

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২০

নিউজ ডেস্ক: ঢাকার ৭১ শতাংশ সরকারি হাসপাতালে অবাধে ধূমপান চলছে। ৮০ শতাংশ সরকারি হাসপাতালের ১০০ মিটারের মধ্যে বিক্রি হচ্ছে তামাক পণ্য। এমনকি ১৮ শতাংশ হাসপাতালের সীমানার মধ্যেই দোকান রয়েছে।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত সেমিনারে এ গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, এক-তৃতীয়াংশ হাসপাতালে সরাসরি ধূমপানের দৃশ্য দেখা গেছে। আর সরাসরি ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার করতে দেখা গেছে প্রায় অর্ধেক হাসপাতালেই। ঢাকার ৫১টি হাসপাতালে জরিপটি পরিচালিত হয়।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের অ্যান্টিটোব্যাকো প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম অফিসার ডা. আহমাদ খাইরুল আবরার। তামাকজাতদ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুসারে দেশের হাসপাতালগুলো সম্পূর্ণ তামাকমুক্ত হওয়ার কথা। কিন্তু জরিপে ঢাকার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ হাসপাতালে ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারের প্রমাণ হিসেবে পানের পিক, চুনের দাগ দেখা গেছে।

অপরদিকে হাসপাতালগুলোতে আসা রোগী ও দর্শনার্থীদের তামাক ছাড়ার ব্যাপারে সহায়তা দিতে তামাক নিবৃত্তকরণ ক্লিনিক থাকা জরুরি। কিন্তু ৫১টি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র একটিতে এই সুবিধা রয়েছে।

সেমিনারে দেশের সব হাসপাতালে আইন অনুসারে পর্যাপ্ত পরিমাণ তামাকবিরোধী সাইনেজ স্থাপনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরকে অনুরোধ জানান ডা. হাবিবে মিলাত এমপি। পাশাপাশি হাসপাতালগুলোর ১০০ মিটারের মধ্যে তামাক বিক্রি বন্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ারও অনুরোধ করেন। এছাড়া তামাক কর কাঠামো সংস্কার ও কর বাড়াতে ১০০ এমপিকে নিয়ে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন ডা. হাবিবে মিলাত।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুল মালিক। সেখানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত লাইন ডিরেক্টর ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রোগ্রামের ম্যানেজার ডা. রায়হান-ই-জান্নাত প্রমুখ।

সেমিনারে উম্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের মধ্যে সিগারেট, বিড়ির মতো ধোঁয়াযুক্ত পণ্য শুধু সেবনকারীর স্বাস্থ্যেরই মারাত্মক ক্ষতি করে না, বরং আশপাশের মানুষেরও সমান ক্ষতি করে। পরোক্ষ ধূমপানের ফলে ফুসফুসের ক্যান্সার, হৃদরোগ, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, স্ট্রোক ও প্রজনন সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস) ২০১৭-এ দেখা যায়, হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও প্রায় ১৩ ভাগ মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys