1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৯ অপরাহ্ন

যুদ্ধাপরাধী আসামি গ্রেপ্তার এড়াতে ব্যবহার করতেন না ফোন, বদল করতেন বাসা

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নেত্রকোনার খলিলুর রহমানকে ঢাকার সাভার থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। আজ দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে করে তার গ্রেপ্তারের বিস্তারিত অবহিত করেন র‌্যাব-এর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি জানান, ২০১৫ সাল থেকে পলাতক খলিল গ্রেপ্তার এড়াতে ঘন ঘন বাসা পরিবর্তন করতেন, এমনকি মোবাইল ফোনও ব্যবহার করতেন না।

গত ১৩ই সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায় হওয়ার পর ৬৮ বছর বয়সী খলিল সাভারে গিয়ে আশ্রয় নেন। র‌্যাব-১৪ ও সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা মঙ্গলবার রাতে সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করে।

কমান্ডার মঈন বলেন, ২০১৫ সাল থেকে মামলার তদন্ত কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই সে (খলিল) পলাতক ছিল। ২০১৭ সালে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে গৃহীত হলে সে আত্মগোপনে চলে যায় এবং রাজধানীর দক্ষিনখান, তুরাগ ও উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করে।

আত্মগোপনে থাকাকালীন সে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার এড়াতে নিয়মিত বাসা পরিবর্তন করত এবং একা অবস্থান করত।

র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, এ সময় যোগাযোগের জন্য সে কোনো ধরনের মোবাইল ফোন ব্যবহার করত না। কিন্তু মাঝে মাঝে তার পরিবারের সদস্যরা গোপনে তার সাথে দেখা করত। খলিলের ছেলে-মেয়েরা তার প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণের জন্য নিয়মিত টাকা দিত।

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে নোয়াগাঁও এলাকার খলিলুর রহমান ১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি ছিলেন ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য।

মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি আল-বদর বাহিনীতে যোগ দেন। চণ্ডিগড় ইউনিয়নে আল-বদর বাহিনীর কমান্ডারও হন।

স্বাধীনতার পর তিনি এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল নেত্রকোনার এই যুদ্ধাপরাধ মামলার তদন্ত শুরু করে প্রসিকিউশনের তদন্ত সংস্থা। ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি খলিলসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

তাদের মধ্যে এক আসামি রমজান আলী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
অপর চার আসামি নেত্রকোনার দুর্গাপূর থানার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের মো. খলিলুর রহমান, তার ভাই মো. আজিজুর রহমান, একই থানার আলমপুর ইউনিয়নের আশক আলী এবং জানিরগাঁও ইউনিয়নের মো. শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।

সে সময় চার আসামির মধ্যে খলিলুর রহমান পলাতক ছিলেন। বিচার চলাকালে কারাগারে থাকা তিন আসামিও মারা যান। ফলে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনালে কেবল খলিলের রায় ঘোষণা হয়।
পলাতক খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে সময় নেত্রকোণার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় ২২ জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণসহ যুদ্ধাপরাধের পাঁচ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল এ মামলায়। রায়ে সবগুলো অভিযোগেই তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
এর মধ্যে চারটি অভিযোগে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং একটি অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys