নিউজ ডেস্ক: দখলীকৃত মারিউপোলে খাদ্য সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করেছে। মিডিয়াকে এ তথ্য জানিয়েছেন ইউক্রেনের এমপি দমিত্র গুরিন। পাশাপাশি তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্দেশে বলেছেন, মেনে নিন এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। তিনি আরও বলেছেন, তাদের হাতে মাত্র তিন দিনের খাদ্য মজুদ আছে। এরপরেই ওই শহরের মানুষজনকে অনাহারে থাকতে হবে। দমিত্র গুরিনের পিতামাতা বসবাস করেন মারিউপোলে। তাকে মেয়রের অফিস থেকে বলা হয়েছে, এই বন্দর নগরীর রাস্তায় লাইন দিয়ে পড়ে আছে মৃতদেহ। বোমা হামলায় যে পরিমাণ মানুষ নিহত হয়েছেন বা হচ্ছেন, তাদেরকে সমাহিত করার আর স্থান সংকুলান হচ্ছে না সমাধিক্ষেত্রে।
ফলে স্থানীয় প্রশাসন এক একটি গণকবরে ৩৩ টি পর্যন্ত মৃতদেহ দাফন করছেন। দমিত্র গুরিন বলেছেন, বর্তমানে আমরা এমন এক পরিস্থিতিতে আছি, যেখানে বেসামরিক মানুষজন আর শান্তিপূর্ণ শহরে কার্পেট বোমা হামলা চালানো হয়েছে। মারিউপোলের দক্ষিণে বসবাস করেন আমার পিতামাতা। ওই এলাকায় কখনোই কোনো সামরিক স্থাপনা ছিল না। তা সত্ত্বেও সেখানে ভয়াবহ বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া।
তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, স্বীকার করুন এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, দয়া করে পুরনো মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান দিয়ে ইউক্রেনের বিমানবাহিনীকে সহায়তার জন্য পোল্যান্ডকে অনুমোদন দিন। আর কত ইউক্রেনিয়ান মারা গেলে, এক সপ্তাহে আর কত মানুষ মারা গেলে- এই সহায়তা পাওয়া যাবে। এ বিষয়টি বেছে নেয়ার কথা গ্রেট বৃটেন স্মরণ করতে পারে ৮০ বছর আগে। আমরা মনে করি এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা শুধু আমাদের জন্য নয়। এই সহায়তা প্রয়োজন আপনার জন্য এবং আপনাদের ভবিষ্যতের জন্যও।