নিউজ ডেস্ক: রাজবাড়ী পৌরসভার এক কাউন্সিলরকে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে পৌর শহর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই কাউন্সিলরের নাম মাহাবুর রহমান পলাশ (৪৩)। তিনি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। মাহাবুর পৌর শহরের ভাজনচালা গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সৈয়দা সামসুন্নাহারের স্বামী ফজলুর রহমান ২০২০ সালে মারা যাওয়ার পর তিন মেয়ে নিয়ে রাজবাড়ী জেলার বিনোদপুরের রেল কোয়ার্টারের নিউ কলোনিতে বসবাস করে করতেন। কোনো আয়ের উৎস না থাকায় ২০১২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বিনোদপুর নিউ কলোনি মোড় এলাকায় রেলের জায়গা লিজ নেন তিনি। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় লিজের জমিতে দোকানের ঘর নির্মাণের কাজ চলছিল। এ সময় কাউন্সিলর মাহাবুব আলম পলাশ, নতুন পাড়ার মো.বাবুসহ ৪ থেকে ৫ জন গিয়ে শ্রমিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ মারপিট করে বের করে দেন তাকে।
এ ঘটনা সামসুন্নাহারের মেয়ে জানতে পেরে তাদের বাধা দিলে তাকেও এলোপাতাড়ি মারপিট করে মাহাবুবের লোকজন। এ সময় তাকে বিবস্ত্র করে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় তারা। মেয়েকে বাঁচাতে গেলে সামসুন্নাহারকেও চুলের মুঠি ধরে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি করে। এ সময় সামসুন্নাহার ও তার মেয়ের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে খুন ও জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায় মাহাবুবরা। পরে ওই রাতেই সামসুন্নাহার রাজবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রাজবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘গতকাল রাত ১টার দিকে শহর থেকে মাহাবুর রহমান পলাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আজ মঙ্গলবার রাজবাড়ী আদালতে সোপর্দ করা হয়।’
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, একজন ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় পৌরসভার কাউন্সিলর মাহাবুর রহমান পলাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সম্প্রতি বিভিন্ন অপরাধে ৩টি মামলা দায়ের হয়েছে।