নিউজ ডেস্ক: ভারতের কেরালায় বাংলাদেশি তরুণীকে বিবস্ত্র করে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রাজধানী ঢাকার হাতিরঝিলের বাসিন্দা রিফাদুল ইসলাম হৃদয় রয়েছেন। যিনি এলাকায় ‘টিকটক হৃদয় বাবু’ নামে পরিচিত।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ডিসি মো. শহিদুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ওই ঘটনায় রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় ভুক্তভোগী তরুণীর বাবার করা মামলায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশি আসামিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
ভিডিও দেখে নিজের মেয়েকে শনাক্তের পর বৃহস্পতিবার রাতে মেয়েটির বাবা মানবপাচার ও পর্নোগ্রাফি আইনে হৃদয় বাবুসহ পাঁচজনকে আসামি করে হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহারে মেয়েটির বাবা জানান, তিনি মগবাজার এলাকার ফুটপাতে ব্যবসা করেন। তার মেয়ের ৬-৭ বছর আগে বিয়ে হয়। স্বামী ৩ বছর ধরে কুয়েতে থাকে। স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর থেকে সে আমার বাসায় ও শ্বশুরবাড়ি উভয় জায়গায় থাকত। মেয়েটি ১৫ মাস আগে আমাকে জানায় সে দুবাই যাবে। আমি তাকে নিষেধ করি। তবে এক বছর ধরে সে নিখোঁজ হয়ে যায়।
পরে আমি জানতে পারি, মগবাজারের রিফাদুল ইসলাম ওরফে টিকটক হৃদয় তাকে ফুসলিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচার করে। কিছুদিন আগে জানতে পারলাম মেয়েটি হৃদয়ের সঙ্গে ভারতে আছে। তবে সম্প্রতি ভিডিও দেখে আমি আমার মেয়েকে চিনতে পারি। ভিডিওতে রিফাদুলকে দেখা গেছে, সেই আমার মেয়েকে নিয়ে গেছে।
গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশি এক তরুণীকে তরুণীকে বিবস্ত্র করে শারীরিক ও যৌন নিপীড়নের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, তিন চারজন যুবক মিলে ওই তরুণীকে বিবস্ত্র করে অমানবিক নির্যাতন করছে। ঘটনাটি ঘটে ভারতের কেরালায়। নির্যাতিত মেয়েটি বাংলাদেশি ও নির্যাতনকারী এক তরুণও বাংলাদেশের।
এ বিষয়ে বেঙ্গালুরু সিটি পুলিশের এক প্রেস নোটে জানানো হয়, ভিডিও ক্লিপ দেখে ঘটনায় জড়িত এক নারীসহ পাঁচজনকে দ্রুত শনাক্ত করে আটক করা হয়। এরপর ভিডিও ক্লিপ এবং আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যের ভিত্তিতে রামমূর্তি নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নিপীড়ন ও এ সংশ্লিষ্ট আইনের অন্যান্য ধারায় মামলা করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তারা সবাই বাংলাদেশি।