1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৮ অপরাহ্ন

ব্রিটেন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক অবিনশ্বর

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : শনিবার, ১২ জুন, ২০২১

নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ককে অবিনশ্বর বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রথমবারের মতো বৈঠকের পর বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের কর্নওয়ালে তাদের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ কর্নওয়ালেই শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন। চলবে আগামীকাল ১৩ জুন পর্যন্ত।

এবারের সম্মেলনের আলোচ্য সূচিতে রয়েছে করোনাভাইরাসের টিকা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোও। করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর প্রথমবারের মতো কোনো বিশ্ব সম্মেলনে সশরীরে অংশ নিচ্ছেন বিশ্ব নেতারা।

তার আগে জনসন ও বাইডেনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। খবরে বলা হয়, বৈঠকে প্রায় ঘণ্টাখানেক কথা বলেন দুই নেতা। এর আগেই তারা আটলান্টিক চার্টারে স্বাক্ষর করেছেন।

১৯৪১ সালে যাতে প্রথম স্বাক্ষর করেছিলেন উইনস্টন চার্চিল ও ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট। এরপর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে সাক্ষাৎকার দেন জনসন।

জানান, বৈঠকে ব্রেক্সিট ইসুসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাদের আলাপ হয়েছে। বাইডেনের সঙ্গে মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নিয়েও আলাপ করেছেন তিনি।

এরপর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ব্রিটিশ-মার্কিন সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ইউরোপসহ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বহুদিন ধরে তারা একসাথে কাজ করছে।

তার ভাষায়, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য উভয়ই মানবাধিকার, বিধি-বিধানের ভিত্তিতে সুশৃঙ্খল আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাপনা এবং আটলান্টিক মহাসাগরের দুই পারের মৈত্রীতে বিশ্বাস করে।’

আর তাই দুই দেশের মধ্যকার এই একাত্মতাকে ‘অবিনশ্বর এক সম্পর্ক’ কিংবা ‘গভীর ও অর্থবহ সম্পর্ক’ বলেই তিনি মনে করেন। জনসন বলেন, ‘উভয় দেশের মধ্যকার এই সম্পর্ক বহু বছর ধরে বজায় রয়েছে এবং ইউরোপ ও বাকি বিশ্বের শান্তি ও সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’

শুক্রবার শুরু হওয়া সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ছাড়াও কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও জাপানের নেতারা।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোর তথ্য মতে, এবার সম্মেলনে প্রাধান্য পাবে ভ্যাকসিন কূটনীতি, বিশ্ববাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকটের মতো বিষয়গুলো।

এ ছাড়া আলোচনায় আসতে পারে গুগল, অ্যাপল ও আমাজনের মতো বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে ন্যূনতম ১৫ শতাংশ করপোরেট কর পরিশোধের ব্যাপারে চাপ প্রয়োগের বিষয়টি।

ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জন্য ৮ দিনের এই ইউরোপ সফরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দেশটির সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ইউরোপের অনেক দেশের সঙ্গে মার্কিনিদের সম্পর্কে অবনতি হয়েছে। সে সম্পর্কগুলো উন্নতি করার বিষয়টি রয়েছে বাইডেনের এবারের এজেন্ডায়। বিশেষ করে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়টি।

জি-৭ সম্মেলনের তিন দিন পর জো বাইডেন ও তার স্ত্রী মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল ট্রেসি দুজনে সাক্ষাৎ করবেন ব্রিটিশ রানী এলিজাবেথের সঙ্গে। এর আগে ব্রিটিশ রানী বাইডেনের প্রথম সাক্ষাৎটি হয়েছিল ১৯৮২ সালে যখন জো ছিলেন ডেলাওয়্যারের সিনেটর।

এরপর বাইডেন যাবেন বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে। সেখানে মিলিত হবেন ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সাথে। সেখানে চীন ও রাশিয়ার বিষয়ে আলাচনা হতে পারে।

বাইডেনের এর পরের গন্তব্য সবচেয়ে বেশি আলোচনায়। এ পর্যায়ে তিনি যাবেন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়। আগামী ১৬ জুন সেখানে তিনি সাক্ষাৎ করবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ­াদিমির পুতিনের সঙ্গে।

ইউক্রেন, সাইবার হামলা এবং রাশিয়ার নতুন পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের পদক্ষেপ নিয়ে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন বিশ্বের ক্ষমতাধর দুই নেতা।

সেখানে আলোচনা হতে পারে চলমান করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ ও আঞ্চলিক সংঘাত নির্মূলের মতো বিষয়গুলো। এছাড়া রয়েছে পুতিনবিরোধী রুশ নেতা আলেক্সেই নাভালনির বিষয়টিও আলোচানায় আসতে পারে। কারণ সম্প্রতি নাভালনির সঙ্গে সম্পৃক্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করেছে রাশিয়ার একটি আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys