নিউজ ডেস্ক: বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। শুক্রবার মাত্র একদিনেই নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২০৫টি দেশের আরও ৮৩ হাজারের মতো মানুষ, অর্থাৎ ৮২ হাজার ৯৪১ জন।
শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন দেশে মারা গেছেন আরও ৫ হাজার ৯৭৩ জন। এদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, একদিনে মোট ১৩২১ জন।
এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখেছে ফ্রান্স, অর্থাৎ ১১২০ জন। আর স্পেনে মারা গেছে সাড়ে ৮শ জন, ইতালিতে ৭৮৮, যুক্তরাজ্যে ৬৮৪, জার্মানিতে ১৬৮ ও ইরানে ১৩৪ জন।
শুক্রবার সবমিলিয়ে করোনায় মারা গেছেন বিশ্বের অর্ধ লক্ষের বেশি মানুষ অর্থাৎ ৫৯ হাজার ১৪৭ জন। আর শনিবার সকালে আরও ৩১ জন মারা যাওয়ার পর এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে মোট মৃত্যুর পরিমাণ ৫৯ হাজার ১৭৮য়ে এসে দাঁড়িয়েছে।
শুক্রবার সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে, ৩২ হাজার ৯৪১ জন। এরপরই সর্বোচ্চ সংখ্যক আক্রান্তের তালিকায় রয়েছে ইউরোপের ৫ দেশ- স্পেন (৭১৩৪), জার্মানি (৬৩৬৫), ইতালি (৪৫৮৫), ফ্রান্স (৫২৩৩) ও যুক্তরাজ্য (৪৪৫০)। এসব দেশে শুক্রবার আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৭ হাজার ৭৬৫ জন মানুষ।
এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে আক্রান্ত হয়েছেন আর ২৭১৫ জন। এখানে গত ৩ এপ্রিল মারা গেছেন আরও ১৩৪ জন।
সবমিলিয়ে এই মুহূর্বে বিশ্বের ২০৫টি দেশের মোট ১১ লাখ ৯৮ হাজার ৪৩৪ জন মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ২ লাখ ২৮ হাজার ৯২৩ জন। এখনও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৮ লাখের বেশি মানুষ (৮ লাখ ১০ হাজার ৩৫১ জন)। এদের মধ্যে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৯১ জন মানুষ। আর করোনায় বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর হার ৭ দশমিক ৬ শতাংশ।
প্রসঙ্গত গত ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ চীনের হুবেইপ্রদেশের রাজধানী উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। চীনে ইতিমধ্যে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে মার্চের শুরুর দিক থেকেই সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমতে শুরু করেছে। উহানের পরিস্থিতিও অনেক উন্নত হয়েছে। যে কারণে দীর্ঘ দু মাস ধরে অবরুদ্ধ থাকার পর শনিবার শহরটি আংশিকভাবে খুলে দেয়া হয়েছে।
সূত্র: ওয়ার্ল্ডোমিটার