1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

বিদেশে বসেও কাজ করার সুযোগ পাবেন প্রবাসীরা: মোস্তাফা জব্বার

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০

নিউজ ডেস্ক: তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতিতে বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীরা যেভাবে ঘরে বসে বিদেশের কাজ করছেন, তেমনি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও বিদেশে থেকেই বাংলাদেশের কাজ করতে পারবেন বলে আশার কথা শুনিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

বুধবার লন্ডনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ইউকের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে একথা বলেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ইউকের পরিচালনা পরিষদের সদস্য তানভীর আহমেদ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে বিদেশি নাগরিকদের কাজ করা এবং তার মধ্য দিয়ে বিপুল অর্থ দেশ থেকে চলে যাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন। বাংলাদেশের ‘বিদেশি সিইও’ নির্ভরতা কমিয়ে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি মেধাবী তরুণদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুযোগ দেওয়ার কথা বলেন তিনি।

জবাবে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “যারা বাইরে বসবাস করেন তাদের জন্য বাংলাদেশে কাজ করার সম্ভাবনা আছে। আপনার ও আপনার পরের প্রজন্মের কাজ করার সুযোগ তৈরির জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিটি ক্ষেত্রে অবকাঠামো তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশে।

“আপনাকে বাংলাদেশে বসে থেকে কাজ করার দরকার নাই, যেভাবে বাংলাদেশে বসে বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা আউটসোর্সিং করে তেমনি করে বিদেশে অবস্থানকারী যে কোনো বাংলাদেশি ডিজটাইজেশনের যুগে বিদেশে বসেই বাংলাদেশে কাজ করার সুযোগ পাবে।”

বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তির অগ্রগতির চিত্র বোঝাতে মন্ত্রী বলেন, “গত ১৯ মার্চ থেকে সচিবালয়ের অফিসে গিয়ে উঁকিও দেই নাই, কিন্তু একটা ফাইল পেন্ডিং নাই। প্রযুক্তির কল্যাণেই এমনটা সম্ভব হয়েছে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ইউকের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকা ও আবাসিক হলগুলোতে ফ্রি ওয়াই-ফাই সুবিধা চালুর বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

এ বিষয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, “আগামী দুই বছরের মধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক হলগুলোতে ফ্রি ওয়াই-ফাই সুবিধা দেওয়া সম্ভব হবে।”

২০২১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশি স্মার্টফোন তৈরির আশাবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে ১৭ কোটি মোবাইল সংযোগ থাকলেও ১৭ কোটি ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। মাত্র ৩৫ শতাংশ ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়।”
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ এখন আর বন্যা, খরা ও দুর্যোগের দেশ নেই। বাংলাদেশ দুর্যোগের সংকট কাটিয়ে মানবিক রাষ্ট্র হয়ে উঠেছে। প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে, কিন্তু দীর্ঘ দিন রোহিঙ্গাদের ভরণ-পোষণ করা বাংলাদেশের পক্ষে অসম্ভব।”

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

‘বার্থ অফ অ্যা নেশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন টেন মিনিট স্কুলের ইংলিশ ট্রেইনি ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শেভিনিং স্কলার মুনজারিন শহিদ।

মুনজারিন বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে প্রথম বর্ষেই তাদের হাতে পর্যাপ্ত তথ্য তুলে দেওয়া হলে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে তাদের ধারণা পরিষ্কার হবে। কেননা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি গলিতেই রয়েছে ইতিহাস।”

মেধাপাচার রোধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ইউকের পরিচালনা পরিষদের সদস্য, থার্ড সেক্টর কনসালটেন্ট বিধান গোস্বামী বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবেগের জায়গা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নামমাত্র খরচে পড়াশোনা করার জন্যই আজ আমাদের সামনে অনেক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।

“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ইউকের মাধ্যমে আমরা আমাদের ঋণ কিছুটা হলেও শোধ করতে চাই।”

বিজয় দিবসের আলোচনায় একটি জাতির জন্মের পেছনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের উপর আলোকপাত করেন সাংবাদিক ও গবেষক সৈয়দ বদরুল আহসান এবং মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় ক্লাব ইউকের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার চৌধুরী হাফিজুর রহমান, আশরাফ উদ্দীন, লিংকন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র লেকচারার মাহফুজুর রহমান, সোনালী ব্যাংক ইউকের সাবেক প্রধান নির্বাহী আমীরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার অজয় রায় রতন, অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান তালুকদার, শায়লা শিমলা, পলি জাহান, ফাতেমা লিলি, ঝুমুর দত্ত, রেহানা ফেরদৌস মনি ও ইমা সুলতানা চারুসহ অনেকে।

বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করেন প্রতিযোগিতার বিচারক এইচএসবিসি গ্লোবালের ওয়েব কনটেন্ট ম্যানেজার মাসুদ মিজান।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের গান পরিবেশন করেন সঙ্গীত শিল্পী সারোয়ারী আলাম, সংবাদ পাঠিকা ও আবৃত্তি শিল্পী তানজীনা নূর ই সিদ্দিকী, সঙ্গীত শিল্পী রাশিদা খান বানু ও সিনিয়র নিউজ প্রেজেন্টার হিমিকা আযাদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys