বিজয় দে-
বাবা। প্রাণের স্পন্দন। প্রতিটি সন্তানের জন্য নিজের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, কী না করেন! তবে সবার আগে বলে নেয়া ভালো-কেবল একটি নয়, প্রতিটি দিনই কিন্তু বাবার।
তারপরও বাবার সম্মানে একটা স্পেশাল দিন থাকতেই পারে। তাইতো- প্রতি বছর জুন মাসের ৩য় সপ্তাহের রবিবার সাধারণত: বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে বাবা দিবস পালন করা হয়। এই দিনে বিশ্বের প্রায় ৭৫ টি দেশে দিবসটি পালন করা হয়। যদিও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন দিনেও নিজেদের মতো করে, দিবসটি পালন করা হয়।
পিতা সন্তানের মাথার উপর বটবৃক্ষের ছায়ার মত। যার স্নেহঅবধারিত ধারায় শুধু ঝরতেই থাকে। শিশু সন্তানের কচি হাতটিযখন বাবার হাতটি আকড়ে ধরে হাটতে থাকে, তখন তাদের এঅটুট সম্পর্ক জানান দেয়।
সন্তানের ভালোর জন্য জীবনে প্রায় সবকিছু ত্যাগ করেন বাবা। আদর শাসন আর বিশ্বস্ততার জায়গা হলেন- আমাদের বাবা। বাবারমাধ্যমে সন্তানের জীবন শুরু। সন্তান বাবার ঋণ কখনো পরিশোধকরতে পারে না। সেই বাবার প্রতি সম্মান জানাতে বিশ্ব জুড়ে পালিতহচ্ছে বাবা দিবস।
অনলাইন তথ্য ভান্ডার থেকে, ইতিহাস ঘেটে জানা যায়- ১৯০৮সালে প্রথম বাবা দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টে ৫ই জুলাই এই দিবসপালন শুরু হয়। ১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্টলিন্ডন বি জনসন জুন মাসের ৩য় রোববারকে আনুষ্ঠানিকভাবেবাবা দিবস হিসেবে নির্ধারণ করেন। ১৯৭২ সালের প্রেসিডেন্টরিচার্ড নিক্সন প্রতিবছর জাতীয় ভাবে বাবা দিবস পালনের নিয়মচালু করেন। এসব সূত্র ধরে- বাবার প্রতি একটি স্পেশাল দিন হিসেবে, সারা বিশ্বেই পালিত হচ্ছে- সম্মান ও শ্রদ্ধার বাবা দিবস।