নিউজ ডেস্ক: ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নিজ বাসভবনে তৈরি মিষ্টি, কেক এবং বিস্কুট উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য নিয়ে এসেছেন।
শেখ হাসিনা বুধবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তাকে এই উপহার দেন কোবিন্দ। এর আগে ‘সুস্বাদু ও মিষ্টি’ আম উপহার পাঠানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগে রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। পরে সাংবাদিকদের সামনে বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন তারা।
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, গতবার আম পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেছেন, সেগুলো খুব সুস্বাদু, ও মিষ্টি ছিল। প্রধানমন্ত্রীর জন্য উনি উনার রাষ্ট্রপতি ভবনে নিজেদের তৈরি করা মিষ্টি, কেক এবং বিস্কুট নিয়ে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী যেন নিজে সেগুলি গ্রহণ করেন, সেই অনুরোধ তিনি করেছেন।
বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা উনাকে বলেছি, আমাদের দুই দেশের মধ্যে যে সোনালি অধ্যায়, সেটা অন্যান্য দেশের জন্য অনুকরণীয়। আমরা সব ধরনের বড় বড় সমস্যা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান করেছি। আমি বলেছি, আগামী ৫০ বছরে বিভিন্ন দিকে মিউচুয়ালি একে অপরকে সাহায্য করে আমরা সবাই উন্নতির শিখরে পৌঁছাব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ‘অভাবনীয় সাফল্যের’ কথাও আলোচনায় স্থান পেয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের কানেকটিভিটির কথা আমরা তুলে ধরেছি। আমরা বলেছি, ভারতের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক। এই সম্পর্কের ফলেই এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অব্যাহতভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের কোঅপারেশন এই রিজিওনে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে এবং আরও অনেক দূর যাবে। গরিবি হটানোতে আমাদের দুই দেশের কোঅপারেশন আরও দরকার।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ভারতের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যাওয়ায় তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি খুবই দুঃখপ্রকাশ করেছেন, শোক প্রকাশ করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের আত্মত্যাগ নিয়ে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আশ্রয় দিয়েছিলেন, সে জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।