1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ০২:৫৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ফ্রান্সে শিশুতোষ ‘ইপিএস কমিউনিটি মেধা অন্বেষণ’ অনুষ্ঠান সম্পন্ন অভিভাবক সমাবেশে শিক্ষার আলো ছড়াল বাংলাদেশ কমিউনিটি মসজিদ প্যারিসে ২৫তম ট্রপিক্যাল কার্নিভাল উদযাপন ফ্রান্সের চাহিদাসম্পন্ন পেশার জন্য দরকারি তথ্য সিভি জমার মধ্য দিয়ে ফ্রান্স বিএনপি নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে হতাশা প্রকাশ ভারতের রহস্যজনক মৃত্যু ‘কাটা লাগা’খ্যাত শেফালির আবারো ইরান হামলার হুমকি ট্রাম্পের! ষড়যন্ত্র আর নোংরামি আর যেসব অভিযোগ এনে ‘বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্ম’ ছাড়লেন উমামা প্যারিসে বর্ণিল আয়োজনে স্বরলিপি শিল্পী গোষ্ঠীর মনোমুগ্ধকর বৈশাখী মেলা

প্রতিটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দেশ তথা পরিবারের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি: ফাতেমা খাতুন

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০২০

প্রথমে মনে হচ্ছিল একজন নিরপরাধ মানুষকে অযথা কেন গুলি করা হলো? নিশ্চয়ই পেছনে আছে অন্ধকার জগতের হাতছানি। মেধাবি মেজর হয়েও কেন পেশা ছাড়লেন? নানান প্রশ্ন মনে দাগ কেটে যাচ্ছিল!

কিন্তু দিন গড়াতেই একটু একটু করে সব পরিষ্কার হতে থাকলো। ছোটবেলা থেকে পুলিশ প্রফেশনের উপর নেতিবাচক মনোভাব ছিল আমাদের সামাজিক প্রক্ষাপটের বিশ্লেষণে। তবে দিন দিন পুলিশের উন্নয়নের চাবিকাঠি ঘুরতে থাকে। আমার ধারনাও বদলে গিয়েছিল। হঠাৎ সিনহা হত্যা আবার সেই ছোটবেলার ধারনাকে সামনে আনলো।

যাদের হাতে আছে দেশ রক্ষার কবজ তাদের কাছ থেকে আমরা কী এই ধরনের কার্যকলাপ আশা করতে পারি? অপকর্মের পাঁচিল টপকানো যাদের দায়িত্ব তারাই সেই পাঁচিলে অপকর্মের ঠাই দিয়ে যাচ্ছেন নানা রঙে নানা ঢঙে।
পাপের বস্তা যখন উপচে পড়ে তখন ত্রিমুখি চর্তুমুখি পরিকল্পনাতেও কাজ হয় না।

মেজর সিনহার ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করার যে প্রচেষ্টা ছিল পুলিশের, সেটি ব্যর্থ হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে অভিহিত করা হয়েছে একজন তুখোড় মেধাবী, পেশাদার ও সৎ কর্মকর্তা হিসেবে। তার পেশাগত সততা তাকে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) একজন সদস্য করে তুলেছিল- যে স্কোয়াড বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে।

তাদের সাজানো গল্প মানুষ বিশ্বাস করে নাকি বানোয়াট বলে খারিজ করে দেয়- তা নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর খুব একটা মাথাব্যথা নেই। মানুষের হইচইকে খুব একটা পাত্তা দেয় না তারা।

তাদের এই উদাসীন মনোভাবের পেছনে একটা শক্তিশালী কারণ রয়েছে। ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে চার হাজারেরও বেশি মানুষ। ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্য এবং আরও বেশ কিছু কারণকে এইসব হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য হিসেবে প্রতিবেদনে জানিয়েছে গণমাধ্যম।

কিন্তু এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে মুষ্টিমেয় ক্ষেত্রে। এ কারণে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর এমনতর বেআইনি কর্মে যুক্ত সদস্যরা এই বাস্তবতা সম্পর্কে বেশ ভালো জানেন যে, এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের কোনো জবাবদিহি করতে হবে না। বরং তারা ব্যাপক মাত্রায় দায়মুক্তি উপভোগ করেন। হয়তো এ কারণেই তাদের বিচারবুদ্ধিও ভোঁতা হয়ে গেছে।

প্রতিটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এর শিকার মানুষটির পরিবারের জন্য একেকটি অপূরণীয় ক্ষতি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys