নিউজ ডেস্ক: দেশব্যাপী চলমান করোনা টিকাদান কার্যক্রমের পঞ্চম দিনে (সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায়) টিকা গ্রহীতার সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক এমআইএস ও লাইন ডিরেক্টর এইচআইএস অ্যান্ড ই-হেলথ অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
র ৪৬টি সরকারি হাসপাতাল ও অন্যান্য কেন্দ্রে সর্বমোট দুই লাখ চার হাজার ৫৪০ জন টিকা নিয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ এক লাখ ৪০ হাজার ১৫২ জন ও নারী ৬৪ হাজার ৩৮৮ জন ভ্যাকসিন নেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সারাদেশে মোট দুই লাখ চার হাজার ৫৪০ জন টিকা নিয়েছেন। টিকা গ্রহীতার বিভাগীয় পরিসংখ্যান অনুসারে ঢাকা বিভাগে ৫১ হাজার ১৫৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে নয় হাজার ৩৩৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫২ হাজার ৮৬৯ জন, রাজশাহীতে ২৩ হাজার ১৮০ জন, রংপুর বিভাগে ১৯ হাজার ৩৮০ জন, খুলনা বিভাগে ২৩ হাজার ৪৭৯ জন, বরিশাল বিভাগে নয় হাজার ৩৯৭ জন এবং সিলেট বিভাগে ১৫ হাজার ৭৩৯ জন টিকা নিয়েছেন।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে। সবাইকে এ টিকার দুটি ডোজ নিতে হবে। গত ২৭ জানুয়ারি দেশে প্রথম করোনার টিকা প্রদান শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
গত রবিবার থেকে সারাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকার বিনামূল্যে প্রয়োগ শুরু হয়। প্রতিদিন সকাল ৮টা বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলে টিকাদান।
শুরুতে ৫৫ বছরের বেশি বয়সী নাগরিক এবং সম্মুখসারিতে থাকা বিভিন্ন পেশাভিত্তিক শ্রেণি অথবা বিশেষ শ্রেণির নাগরিকরাই টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারছিলেন। এখন যাদের বয়স অন্তত চল্লিশ বছর হয়েছে, তারাও নিবন্ধন করতে পারছেন।
নিবন্ধন করে ঢাকাসহ সারা দেশে ১০১৫টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে। ঢাকায় ২০৪টি এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ১৯৬টি স্বাস্থ্যকর্মীর দল এসব কেন্দ্রে টিকা প্রয়োগ করছে।