নিউজ ডেস্ক: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো ৩৪১ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৭২। এ সময়ের মধ্যে মারা গেছেন আরো দশ জন জন। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৬০। এ সময়ের মধ্যে ২১৩৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যার মধ্যে পরীক্ষা করা হয় ২১১৯ জনের নমুনা।
অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপনকালে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, যারা দেশবাসীর পাশে বিভিন্ন দাঁড়িয়েছেন তাদের সবার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
বুলেটিনে করোনার বিস্তাররোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, বিগত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে বৈশ্বিক মহামারিতে পরিণত করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২১ লাখ ছুঁইছুঁই। মারা গেছেন এক লাখ ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে পাঁচ লাখেরও বেশি রোগী ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এপ্রিলের গত ক’দিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা।
সর্বশেষ হিসাবে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৭২। মারা গেছেন ৬০ জন।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে; যার মূলে রয়েছে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। মানুষকে ঘরে রাখতে রাজপথের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী, র্যাব ও পুলিশ।
এদিকে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত সবশ্রেণির মানুষদের সহযোগিতার কথা জানিয়ে সরকার আগের ৫০ লাখের সাথে আরো ৫০ লাখ মানুষকে রেশন কার্ড দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা বিভাগীয় জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়ের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৫০ লাখ মানুষের জন্য রেশন কার্ড করা আছে, যারা ১০ টাকার চাল পায়। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আরও ৫০ লাখ মানুষের রেশন কার্ড করে দেব। আমরা এমনি দিতে গেলে অনেক সময় সমস্যা হয়। সেই ধরনের কিছু ঘটনা ঘটার ফলে এটা স্থগিত করে তালিকা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।’
‘আমরা যে অতিরিক্ত ৫০ লাখ রেশন কার্ড দেব সেখানে আমাদের সামাজিক সুরক্ষা যারা পাচ্ছেন এবং ইতিমধ্যে যাদের রেশন কার্ড আছে তাদের বাদ দিয়ে করতে হবে। যাদের সত্যিকারের প্রয়োজন তাদের নামটা যেন তালিকায় থাকে।’
সরকার প্রধান বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পুলিশ, কোস্টগার্ড যে যেখানে আছে প্রত্যেকে কিন্তু অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
‘এই করোনাভাইরাস এমন একটা জিনিস সারা বিশ্বে এ ধরনের ঘটনা আর কখনও দেখা যায়নি। সারাবিশ্বে ২৫০ কোটি মানুষ ঘরবন্দি। এটি একটি অদৃশ্য শক্তি, যা চোখে দেখা যায় না। এর প্রভাবে সারা বিশ্ব একটা জায়গায় চলে এসেছে। সারা বিশ্বের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা হবে। এভাবে চিন্তা করে আমরা ইতিমধ্যেই ৯২ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ তৈরি করেছি।’