নিউজ ডেস্ক: সুন্দরী প্রতিযোগিতা দিয়ে শোবিজ অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন আজমেরী হক বাঁধন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমায় অভিনয় করে নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি। এরপরই চমক দেখিয়েছেন বলিউডের বিশাল ভরদ্বাজের ‘খুরফি’ সিনেমায় নাম লিখিয়ে। সম্প্রতি এর শুটিং করে মুম্বাই থেকে ঢাকায় ফিরেছেন তিনি। ফিরেই গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ঘরোয়া এক আড্ডার বসেন এই অভিনেত্রী।
আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত এই অভিনেত্রী জানান, তার এই পথচলা এতটা সুখকর ছিল না। হতাশা ও কষ্ট থেকে দুইবার তিনি আত্মহননের পথ বেছে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু একমাত্র মেয়ের জন্যই বাঁধন ফিরে এসেছেন বারবার!
বাঁধন বলেন, ‘আমি পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছিলাম। ২০০৫ সালের দিকে দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলাম।’
তিনি জানান, ২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা তার জীবনের সংজ্ঞা পাল্টে দিয়েছে। সেখান থেকে তিনি অনেক সাপোর্ট পেয়েছেন। নতুন করে বাঁচার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন।
বাঁধনের ভাষ্য, ‘আমার মেয়ে আমাকে হেরে যেতে দেখছে না, এটাই সবচেয়ে বড় অর্জন। আমার আশপাশের নারীরা যারা বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেতে চায়, অনেকেই বলেন, “আপু আপনি যখন কিছু অর্জন করেন, মনে হয় আমরা অর্জন করছি।” এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।’
বাঁধন মনে করেন তার এই মরতে মরতে বেঁচে যাওয়া জীবনটা এখন সমাজের অন্য নারী যারা বন্দিদশা থেকে মুক্তি চান তাদের জন্য অনুপ্রেরণার।
কান থেকে ফেরার পর মেয়ের অভিব্যক্তি কী? জানতে চাইলে বাঁধন বলেন, ‘আমার মেয়ে আমাকে বলতেছে মা তুমি সেলিব্রেটি হয়ে গেছ। সারাদিন টেলিভিশনে তোমার কথা বলতেছে। মা তুমি অনেক বড় কিছু হয়ে গেছে। তার উচ্ছ্বাস অন্যরকম।’
বাঁধন আরও বলেন, ‘১৫ বছর পর আমার মিডিয়া জীবন শুরু হয়েছে। ৩৪ বছর বয়স থেকে নতুন করে জীবন শুরু করেছি। আমি অভিনয়ে আরও মনযোগী হতে চাই।’
কান চলচ্চিত্র উৎসব মাতানো বাঁধনের সিনেমা ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ আগামী ১২ নভেম্বর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১২টি হলে সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে বলে জানা গেছে। মুক্তির আগেই, বিশ্বের মোট ১৩টি আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়ে সিনেমাটি বেশ প্রশংসিত হয়েছে।