নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যে গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ পাস ভাড়ার দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। তবে এরপরও সড়কে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, নিরাপদ সড়কের জন্য দেওয়া ৯ দফা দাবির বাকিগুলো মেনে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ ঘোষণা দেন, কাল বুধবার থেকে বেসরকারি মালিকানাধীন বাসে অর্ধেক ভাড়ায় চলতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এরপর ধানমন্ডিতে রাপা প্লাজার সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের বিষয়টি জানায় পুলিশ।
এর জবাবে শিক্ষার্থীরা বলেন, নিরাপদ সড়কের জন্য ৯ দফা দাবির একটি অর্ধেক ভাড়া কার্যকর করা। বাকি দাবিগুলোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বাকি দাবিগুলো মেনে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার রুবাইয়াত জামান বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে অন্তত জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে সড়কের একটি লেন ছেড়ে দিতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সহনশীল ও মানবিক আচরণ করতে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সড়কে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। অন্যান্য দিন কাগজপত্র দেখে যান চলাচল করতে দিলেও আজ শিক্ষার্থীরা কোনো গাড়িই চলাচল করতে দিচ্ছিলেন না। এতে মিরপুর সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়। এরপর পুলিশ শিক্ষার্থীদের অন্তত একটি লেনে গাড়ি চলাচল করতে দেওয়ার অনুরোধ করে।
পুলিশের অনুরোধের পর শিক্ষার্থীরা কাগজপত্র যাচাই করে একটি লেনে গাড়ি চলতে দিচ্ছে। তবে সড়কে গাড়ি আটক করে কাগজপত্র যাচাই ও অল্পসংখ্যক গাড়ি চলাচল করতে দেওয়ায় সড়কে যান চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো ছিল, নাঈমসহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সব শিক্ষার্থীর ঘটনায় মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করা; নাঈমসহ দুর্ঘটনায় নিহত সব শিক্ষার্থীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান; দুর্ঘটনায় আহত সব যাত্রী ও পরিবহনশ্রমিকের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা; ঢাকাসহ সারা দেশে সড়ক, নৌ ও রেলপথে ভাড়ায় শিক্ষার্থীদের হাফ পাস প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে নিশ্চিত করা; বৈধ-অবৈধ যানবাহনের চালকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বৈধতার আওতায় আনা ও বিআরটিএর সব কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করা; সারা দেশে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয় ও আধুনিক এবং পরিকল্পিত নগরায়ণ নিশ্চিত করা; গণপরিবহনে নারীর প্রতি যৌন হয়রানি ও সহিংসতা বন্ধ করা; জনসাধারণের জন্য ফুটপাত, পদচারী–সেতুসহ নিরাপদ চলাচল ব্যবস্থা নিশ্চিত করা; পরিকল্পিত বাস স্টপেজ ও পার্কিং নির্মাণ এবং এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা।