নিউজ ডেস্ক: তানোরে এক উপজাতির বাড়িতে মাদক আছে এমন সন্দেহে তল্লাশি শুরু হয়। মুণ্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আনোয়ারসহ দু’জন পুলিশ কন্সটেবল এই তল্লাশি করেন।তবে, মাদক না পেলেও বাড়িতে থাকা ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায় পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটে ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির বনকেশর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত জলপাই মুন্সির ছেলে বিশ্বনাথের বাড়িতে। এ ঘটনায় বিশ্বনাথ ২৮ ডিসেম্বর জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দেন।
অভিযোগের ঘটনা তদন্ত করে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তদন্তে সত্যতা পেয়ে ৩০ ডিসেম্বর রাতে এসআই আনোয়ারকে ক্লোজ করে রাজশাহী পুলিশ লাইনে নেয়া হয়। তবে, সঙ্গে থাকা ওই দুই পুলিশ কন্সটেবলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এ নিয়ে বিশ্বনাথ বলেন, আমি মাদক ব্যবসা কোনো দিনই করিনি। বাড়িতে দুইটি শূকর বিক্রির ৩০ হাজার টাকা ছিল। এটি প্রতিবেশীরাও জানে। পুলিশ শুধু তার টাকা নিতেই স্থানীয় দালাল নিয়ে বাড়ি তল্লাশির নামে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৩০ হাজার টাকা লুট করে নেয়। তবে, অভিযোগ দেবার পরে পুলিশের গোদাগাড়ী সার্কেল সার এসে তদন্ত করেন। পরে গ্রামের ইউপি সদস্যের মাধ্যমে এসআই আনোয়ারের কাছে উদ্ধার করা ৮ হাজার টাকা ফেরত দিলেও বাকি ২২ হাজার টাকা এখনও পাইনি।
গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য জয়নাল বলেন, এসআই আনোয়ার শুধু বিশ্বনাথের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে থেমে থাকেননি। এ ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে গ্রামে রিয়াজ আলী (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে মাদক খাওয়ার অপবাদ দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে এটাও সাজানো।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত এসআই আনোয়ার বলেন, ঝামেলা মিটে গেছে।