নিউজ ডেস্ক: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কোভিড-১৯ মুক্ত হয়েছেন। নিজের প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত র্যাপিড টেস্টিং কিট দিয়ে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা ‘নেগেটিভ’ এসেছে।
রোববার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চিকিৎসক গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের অধ্যাপক মামুন মোস্তাফী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, শনিবার রাতে নমুনা পরীক্ষার যে ফল পাই, সেখানে তিনি করোনা নেগেটিভ। তবে ওনার পিসিআর টেস্ট করানো হবে।
জানা গেছে, জাফরুল্লাহ চৌধুরী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। ফুসফুসের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তবে এখনো পুরোপুরি ভালো হয়নি। তার গলার ইনফেকশনটাও আগের চেয়ে ভালো। কিন্তু পুরোপুরি সারেনি। বাকি বিষয়গুলো স্থিতিশীল আছে। তার থেরাপি, অ্যান্টিবায়োটিক, ডায়ালাইসিস নিয়মিত চলছে। নিজের খাওয়া, টয়লেটে যাওয়া—সব নিজেই করছেন। কৃত্রিম অক্সিজেন এখন লাগছে না।
৪ জুন রাতে ৭৯ বছর বয়স্ক এই মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তবে শনিবার থেকে ধীরে ধীরে তার উন্নতি হতে থাকে। তার চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, ৫ মে ডা. জাফরুল্লাহর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। প্রথমে গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত কিটে এবং পরে বিএসএমএমইউতে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তার স্ত্রী শিরীন হক ও ছেলে বারিশ চৌধুরীও করোনা পজিটিভ। তারা বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শিরিন হকের একটি পরীক্ষায় নেগেটিভ এসেছে। তিনি বলেন, ‘আমি এখন নেগেটিভ। কিন্তু কাশি হচ্ছে অনেক। শরীর দুর্বল। বসে থাকতে পারি না বেশিক্ষণ। ছেলে এখনো পজিটিভ। তবে সে ভালো আছে। এত দিন ও-ই আমার দেখাশোনা করেছে।’
জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিজের প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাকে নিয়েও শিরিন হক চিন্তিত। তিনি বলেন, এই হাসপাতালের ওপর ভরসা আছে। ধীরে ধীরে ওর উন্নতি হচ্ছে। তবে কথা বেশি বলতে পারে না। খুব ক্ষীণ আওয়াজ। একটু একটু কথা এখন বলতে শুরু করেছে। সবাইকে নাকি চিরকুট দিচ্ছে। ডাক্তারদেরও চিরকুট দেয়।
সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এছাড়া তিনি আজ নাসিমের জানাজায়ও অংশ নেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম জানান, রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বনানী কবরস্থানে জাফরুল্লাহ চৌধুরী উপস্থিত হয়ে নাসিমকে শেষবিদায় জানান।