নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার ডলার সংকট আগামী জানুয়ারি থেকে আর থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি পণ্য আমদানির নামে বেশি দাম দেখিয়ে ঋণপত্র খোলা হলে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক ও ব্যাংকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) আয়োজিত স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বিষয়ক এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।
জানুয়ারি থেকে জুনে পণ্য আমদানিতে ‘অস্বাভাবিক’ পরিমাণে ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছিল জানিয়ে গভর্নর বলেন, ‘এটি আমরা কমিয়েছি। আগামী জানুয়ারি থেকে ডলার সংকট আর থাকবে না বলে আশা করছি।’
তিনি বলেন, ‘ডলার সংকটে আমদানি করা যাচ্ছে না বলে যে কথা বলা হচ্ছে- তা মোটেই ঠিক নয়। পণ্য আমদানিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে না। সঠিক দরে এলসি খুলতে বাধা নেই। ব্যাংক এলসি খুলতে পারলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা নেই।’
পণ্য আমদানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে গভর্নর বলেন, আগে গড়ে প্রতি মাসে আট বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হতো। এখন তা ৫ বিলিয়নে নামিয়ে আনা হয়েছে। এতে ডিসেম্বর নাগাদ ব্যালেন্স অব পেমেন্টের যে ঘাটতি তা আর থাকবে না। বর্তমান যে ঘাটতি রয়েছে তা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
‘হুন্ডির লেনদেন প্রক্রিয়া নিয়ে সেমিনারে তিনি জানান, ‘আন্ডার ইনভয়েসিং (প্রকৃত দরের চেয়ে কম মূল্য দেখিয়ে রপ্তানি) এর মাধ্যমে পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে। কম দর দেখানো অর্থ আবার দেশে আসছে হুন্ডি হয়ে। আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে হুন্ডিকে সহায়তা করা হচ্ছে, যা সরকারের রাজস্ব আহরণকেও বঞ্চিত করছে। ওভার ইনভয়েসিং ও আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের কারণে একটি অসামঞ্জস্যতা দেখা যাচ্ছে আমদানি-রপ্তানিতে। এটা আমরা নিয়ন্ত্রণ করছি।’
গভর্নর প্রবাসীদের রেমিট্যান্স ব্যাংকিং চ্যানেলে আনতে আরও গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে জানিয়ে বলেন, ‘হুন্ডি প্রতিরোধে কঠোর নজরদারি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ওভার ইনভয়েসিং এবং আন্ডার ইনভয়েসিং শূন্যতে নামিয়ে আনত পারব বলে আশা করছি আমরা।’