1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৭ পূর্বাহ্ন

টাইটানের নির্মম পরিণতি আগেই টের পেয়েছেন ‘টাইটানিক’ নির্মাতা!

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : রবিবার, ২৫ জুন, ২০২৩

নিউজ ডেস্ক: এক শ্বাসরুদ্ধকর ট্র্যাজেডির সাক্ষী হলো বিশ্ব। আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে বিখ্যাত টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে ‘টাইটান’ নামের একটি সাবমারসিবলে চড়ে গিয়েছিলেন পাঁচ আরোহী। কিন্তু আচমকা নিখোঁজ হয়ে যায় জলযানটি। এর চার দিন পর বৃহস্পতিবার (২২ জুন) জানা যায়, সাবমারসিবলটি বিস্ফোরিত হয়েছে এবং পাঁচ আরোহীর করুণ মৃত্যু ঘটেছে।

বিশ্বকে নাড়িয়ে দেওয়া এই ঘটনার ভয়াবহতা আগেই টের পেয়েছিলেন হলিউডের বিখ্যাত নির্মাতা জেমস ক্যামেরন। যিনি টাইটানিক জাহাজ ডুবির ঘটনার ছায়া অবলম্বনে নির্মাণ করেছেন ঐতিহাসিক সিনেমা ‘টাইটানিক’।

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেমস ক্যামেরন জানান, টাইটান সাবমারসিবল নিখোঁজ হওয়ার খবর শুনেই তিনি এর পরিণতি আঁচ করতে পেরেছিলেন। কেননা, সমুদ্রের তলদেশে একবার-দুবার নয়, ৩৩ বার গিয়েছিলেন এই নির্মাতা।

টাইটান নির্মাণ করা হয়েছিল কার্বন ফাইবার ও টাইটানিয়াম পদার্থ দিয়ে। তবে এর প্রযুক্তি নিয়ে সংশয় ছিল জেমস ক্যামেরনের। তার ভাষ্য, ‘তারা যে প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে, এর ওপর আমার যথেষ্ট সন্দেহ ছিল। ওশানগেট (টাইটানের মূল কোম্পানি) এর জন্য কোনও নিবন্ধন বা স্বীকৃতি নেয়নি, কারণ তারা জানতো পাস করবে না।’

জেমস ক্যামেরন জানান, তিনি যখনই শুনতে পেয়েছেন টাইটান সাবমারসিবলটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে; তখনই তার মাথায় বিস্ফোরণের আশঙ্কা আসে। ক্যামেরন বলেন, ‘আমি তাৎক্ষণিক বিষয়টি আমার পরিচিত কয়েকজনকে ফোন করি, যাদের গভীর সমুদ্রে যাওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে আমি কিছু বিষয় জানতে পারি, তারা ওই সময়ে ৩ হাজার ৫০০ মিটার গভীরে ছিল এবং একেবারে তলদেশ, ৩ হাজার ৮০০ মিটারের দিকে যাছে। কিন্তু তাদের যোগাযোগ, নেভিগেশন সব বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তখনই আমি বলেছিলাম, বড় কোনও বিপর্যয় ছাড়া যোগাযোগ ও নেভিগেশন একসঙ্গে বিচ্ছিন্ন হতে পারে না। ওই সময় আমার মাথায় প্রথম যে আশঙ্কা আসে তা হলো বিস্ফোরণ।’

উল্লেখ্য, গত রবিবার (১৮ জুন) টাইটান সাবমারসিবলটি আটলান্টিকের তলদেশে যাত্রা করে। যাত্রা শুরুর এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরই মূল জাহাজের সঙ্গে এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) নাগাদ বাহনটির গুরুত্বপূর্ণ ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে পাঁচ আরোহীর মৃত্যুর বিষয়টিও নিশ্চিত হয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, ১৯১২ সালে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ওই সময়ের সবচেয়ে বড় ও বিলাসবহুল যাত্রীবাহী জাহাজ টাইটানিক ডুবে যায়। সমুদ্রের তলদেশে ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে এর ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে এখনও। ১৯৯৭ সালে এই জাহাজ ডুবির ঘটনার সঙ্গে কাল্পনিক গল্প মিশিয়ে ‘টাইটানিক’ নির্মাণ করেন জেমস ক্যামেরন। লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও ও কেট উইন্সলেট অভিনীত ছবিটি ১১টি বিভাগে অস্কার জিতেছিল।

সূত্র: বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys