1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ফ্রান্সে শিশুতোষ ‘ইপিএস কমিউনিটি মেধা অন্বেষণ’ অনুষ্ঠান সম্পন্ন অভিভাবক সমাবেশে শিক্ষার আলো ছড়াল বাংলাদেশ কমিউনিটি মসজিদ প্যারিসে ২৫তম ট্রপিক্যাল কার্নিভাল উদযাপন ফ্রান্সের চাহিদাসম্পন্ন পেশার জন্য দরকারি তথ্য সিভি জমার মধ্য দিয়ে ফ্রান্স বিএনপি নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে হতাশা প্রকাশ ভারতের রহস্যজনক মৃত্যু ‘কাটা লাগা’খ্যাত শেফালির আবারো ইরান হামলার হুমকি ট্রাম্পের! ষড়যন্ত্র আর নোংরামি আর যেসব অভিযোগ এনে ‘বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্ম’ ছাড়লেন উমামা প্যারিসে বর্ণিল আয়োজনে স্বরলিপি শিল্পী গোষ্ঠীর মনোমুগ্ধকর বৈশাখী মেলা

জামিন হচ্ছে না খালেদা জিয়ার

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯

নিউজ ডেস্ক: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এর আগে খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনের ওপর এবং তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের ৩০ জন করে মোট ৬০ জন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিতে তাঁর আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেছিলেন, তাঁরা মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার জামিন চাইছেন। তাঁর অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। তিনি পঙ্গু অবস্থায় চলে গেছেন। হয়তো ছয় মাস পর তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হবে।

এর আগে আপিল বিভাগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি চলার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিএনপি ও আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

আর খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও জয়নুল আবেদীন।

এর আগে বেগম জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আপিল বিভাগের এজলাসে বসানো হয় ৮টি সিসি ক্যামেরা। পুলিশের গোয়েন্দা তথ্যানুসারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয় আদালতের।

এর আগে, গত ২৮ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট চান। যা ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আপিল বিভাগে দাখিল করতে বলা হয়। একই সঙ্গে ৫ ডিসেম্বর আদেশের জন্য দিন রাখা হয়। তবে ওইদিন প্রতিবেদন পাঠানো হয়নি। এরপর আদালত কোনো ব্যর্থতা ছাড়াই ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়ে শুনানি ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পেয়ে বন্দি রয়েছেন খালেদা জিয়া। আপিলের পর হাইকোর্টে যা বেড়ে ১০ বছর হয়। পরে ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর খালাস চেয়ে আপিল বিভাগে খালেদা জিয়া জামিন আবেদন করেন। তবে সেই আবেদন এখনো আদালতে উপস্থাপন করেননি তার আইনজীবীরা।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্ত শেষে ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শেষ হলে দুদকের পক্ষে এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণা করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys