নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম স্ত্রী ইভানা ট্রাম্প (৭৩) শরীরে আঘাতের প্রভাবে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন নিউইয়র্কের মেডিকেল পরীক্ষক কর্মকর্তা। গত বৃহস্পতিবার ম্যানহাটনের অ্যাপার্টমেন্টে দুর্ঘটনায় ইভানার মৃত্যু হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজ অ্যাপার্টমেন্টের সিঁড়ির নিচে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায় ইভানাকে। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার দিন একজন ব্যক্তিগত সহকারী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী ইভানার অ্যাপার্টমেন্টে যায়। তারা বেশ কয়েকবার কলিংবেল বাজিয়েও ইভানার সাড়া পাননি। একপর্যায়ে ফোনে না পেয়ে ওই অ্যাপার্টমেন্টের দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়। তবে দরজা ভেতর থেকে ডাবল লক থাকায় তাকেও ফিরে যেতে হয়। অবশেষে একজন রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীকে ডেকে দরজা খুললে ইভানাকে সিঁড়ির মেঝেতে দেখতে পান তারা। সেখানে একটি জাভা কাপ ছিল বলে জানা গেছে।
মেডিকেল পরীক্ষকের অফিস (এমই) ইভানার মৃত্যুকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ঘটনা বলেছে। তারা জানিয়েছে, ইভানা সিঁড়ির ওপর থেকে নিচে পড়ে যান এবং এতে আঘাত পেয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
ইতালিয়ান অভিনেতা ও মডেল রোসানো রুবিকোন্ডি ২০০২ সালে ইভানার প্রেমে পড়েন
এদিকে সাবেক স্ত্রীর মৃত্যুর খবরে শোক প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। তিনি লিখেছেন, যারা ইভানাকে ভালোবাসতেন তাদের সবার জন্য এটি দুঃখের খবর। তিনি চমৎকার, সুন্দর এবং অসাধারণ নারী ছিলেন, যিনি একটি মহান ও অনুপ্রেরণামূলক জীবন কাটিয়েছেন।
চেক রিপাবলিকে জন্ম নেওয়া ইভানার সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিয়ে হয় ১৯৭৭ সালে। ১৫ বছরের মাথায় ১৯৯২ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। ট্রাম্প ও ইভানার তিন সন্তান রয়েছে। তারা হলেন ডোনাল্ড জুনিয়র, ইভাঙ্কা ও এরিক ট্রাম্প।
ট্রাম্পের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর প্রসাধনী, পোশাক আর গয়নার ব্যবসা শুরু করেন ইভানা। ২০১৭ সালে এক স্মৃতিকথায় তিনি লিখেছেন, বিচ্ছেদের পর ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্কের উন্নতি হয়েছিল। সপ্তাহে মোটামুটি একদিন তাদের কথা হত। ট্রাম্প ছিলেন ইভানার দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী আলফ্রেড উইনক্ল্যামায়ার ছিলেন অস্ট্রিয়ার নাগরিক। বলা হয়, অস্ট্রিয়ার নাগরিকত্ব পেতেই তাকে বিয়ে করেছিলেন ইভানা।