নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর বঙ্গবাজারে অস্থায়ীভাবে চৌকি পেতে বসতে শুরু করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। ঈদের আগে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আজ বুধবার দুপুর ১২টার পর থেকে বসতে শুরু করেন তারা।
বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডস্থল ঘুরে দেখা গেছে, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের খোলা জায়গায় এখন আর কোনো পোড়া স্তূপ নেই। নেই টিন বা লোহা-লক্কর। বরং সেই জায়গা ইট বিছিয়ে বালু ছিটিয়ে সমতল করা হয়েছে। আর ১ দশমিক ৭৯ একরের সেই খোলা জায়গায় অস্থায়ী চৌকি বিছিয়ে বসতে শুরু করেছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।
এদিন সকাল থেকে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা মাথায় করে চৌকি নিয়ে আসছেন। তারপর বঙ্গবাজার দোকান মালিক সমিতির দেখিয়ে দেওয়া জায়গায় সেই চৌকি পাতছেন। অগ্নিকাণ্ডের আগে যার যেখানে দোকান ছিল, সেখানেই চৌকি পেতেছেন তারা। বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির নেতাদের সেটি তদারকি করতে দেখা গেছে।
বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের চারটি মার্কেটে দুই হাজার ৯৬১ জন ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই আপাতত দুই হাজার ৯৬১টি চৌকিই বসার পরিকল্পনা তাদের। যাতে কোনো ব্যবসায়ী বঞ্চিত না হন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আপাতত আমরা চৌকি বিছানোর কাজ করছি।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যরিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ব্যবসায়ীদের অস্থায়ী এই চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা শুরুর কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল সকালে বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিটের পাশাপাশি সেনা, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সম্মিলিত চেষ্টা চালায়। দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন তারা।
কিন্তু তার আগেই আগুনে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হন বঙ্গবাজারের কয়েক হাজার ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীদের দাবি, অগ্নিকাণ্ডে তাদের অন্তত ২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।