1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন

‘চুল কাটা ছাত্রদের চিনি না’

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

নিউজ ডেস্ক: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কাটা হয়েছে তাদেরকে চেনেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে তিনি এ মন্তব্য করেন। তার এই মন্তব্যের পর আজ বুধবার সকাল থেকে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠে ক্যাম্পাস। সকাল থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে রাতে ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের কুশপুত্তলিকা পোড়ান শিক্ষার্থীরা।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন বিভাগের চেয়ারম্যান পদ, সহকারী প্রক্টর পদ ও প্রক্টরিয়াল বোর্ডের সদস্য পদ থেকে লিখিতভাবে পদত্যাগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেল এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

লায়লা ফেরদৌস জানান, বিভাগের চেয়ারম্যান, সহকারী প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল বোর্ডের সদস্য পদ থেকে স্থায়ীভাবে পদত্যাগ করেছেন ফারহানা ইয়াসমিন। তার এ পদত্যাগের পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শান্ত হয়। কিন্তু রাতে তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বলেন, ‘আমি যাদের চুল কেটে দিয়েছি তাদেরকে চিনি না। তারা আমার শিক্ষার্থী কি-না তাও বলতে পারব না।’ এমন বক্তব্যের পর আবারও ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত শিক্ষিকা স্থায়ী চাকরিচ্যুত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।

ভুক্তভোগী ছাত্ররা জানান, গত রোববার দুপুরে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরিচিতি বিষয়ের ফাইনাল পরীক্ষার হলে ঢোকার সময় ওই বিভাগের চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন কাঁচি হাতে পরীক্ষার হলের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন। হলে প্রবেশের সময় যেসব শিক্ষার্থীদের মাথার চুল হাতের মুঠোর মধ্যে ধরা যায়, তাদের মাথার সামনের অংশের বেশ খানিকটা কাঁচি দিয়ে কেটে দেন। এভাবে একে একে ১৪ জন শিক্ষার্থীর চুল তিনি কেটে দেন। এরপর পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীদের পরিবার তুলে গালিগালাজ করেন। এতে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।

এই ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিলে বিষয়টি ব্যাপক ভাইরাল হয়। এ ছাড়া এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা গত সোমবার দুপুরে পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করার চেষ্টা করলে ওই শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ করে পরীক্ষার হলে যেতে বাধ্য করেন। এর প্রতিবাদ করলে তিনি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান তুহিনকে তার চেম্বারে ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করারও হুমকি দেন।

জানা যায়, ওই ঘটনার পর তুহিন সোমবার রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। রাত ৮টার দিকে তার সহপাঠীরা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে রাতেই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছুটে এসে বিক্ষোভ করে। গভীর রাত পর্যন্ত তাদের এ বিক্ষোভ চলে। পরে মঙ্গলবার সকাল থেকে তারা আবারও বিক্ষোভ শুরু করলে রবি ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে।

এ বিষয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত ভিসি ও ট্রেজারার আব্দুল লতিফ ও অভিযুক্ত শিক্ষিকা ইয়াসমিন বাতেন মোবাইলের কল রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys