নিউজ ডেস্ক: প্রায় দশ লাখ বছর পূর্বে সেই বরফযুগের প্রথম পর্যায়ে জাভা মানব এবং পিকিং মানবদের বসবাস ছিল। এরই মধ্যে পৃথিবী পাড়ি দিয়ে এসেছে চারটি বরফ যুগ ও চারটি আন্তঃবরফ যুগ।
আর যুগ যুগ ধরেই বিশ্ব সভ্যতা আকর্ষণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে গ্রিস। এখানকার লোকদের আবিস্কারের ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে পুরো বিশ্ব। অন্যন্যদের মধ্যে সক্রেটিস, প্লেটো, এরিস্টেটল, পিথাগোরাস, আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট গ্রিসের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ।
পৌরাণিক কাহিনী, ইতিহাস আর সৌন্দর্যের লীলাভূমি গ্রিস নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন।
এজিয়ান সাগরের তীরে সুপ্রাচীনকালে ইউরোপের প্রথম উন্নত সভ্যতা গড়ে উঠেছিল, বর্তমান আধুনিক ইউরোপকে এর ফসল বললে ভুল হবে না। বিভিন্ন সভ্যতার উত্থানের ফলে গ্রিসের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বতন্ত্র জেলা এবং সরকার ও সমাজ কাঠামো বিশিষ্ট রাজ্যের সৃষ্টি হয়। এই রাজ্যগুলো স্পার্টা এবং এথেন্সের অধীনে একত্রিত হয়ে পার্সিয়ানদের অগ্রযাত্রাকে প্রতিহত করেছিল। এথেন্সে গ্রিসের প্রথম সমৃদ্ধ সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়।
ইউরোপীয় ইতিহাসের সূচনা গ্রিসে। কিন্তু বর্তমানে ইউরোপীয় অন্য সব দেশগুলোর থেকে গ্রিস পিছিয়ে। এদের এখন একমাত্র ইকোনমি হল টুরিজম। এ ছাড়া বেকারত্ব সারা দেশ জুড়ে।
রোমান যুগের সূচনায় হেলেনীয় সমাজ ও সংস্কৃতির কোন পরিবর্তন না হলেও এর ফলে আবশ্যিকভাবেই গ্রিস তার রাজনৈতিক স্বাধীনতা হারায়। খ্রিস্ট ধর্ম বিকাশের পূর্ব পর্যন্ত এখানে হেলেনীয় সংস্কৃতি টিকে ছিল।
গ্রিস রোমের একটি প্রদেশে পরিণত হয় এবং তখনও গ্রিস প্রবল প্রতাপে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের সংস্কৃতিকে প্রভাবান্বিত করে চলে। এরপর রোমান সাম্রাজ্য দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়; একভাগের নাম পূর্ব রোমান সম্রাজ্য যা গ্রিকদের সাম্রাজ্য নামে প্রতিষ্ঠা পায় এবং পরবর্তীকালে বাইজান্টাইন সম্রাজ্য নাম ধারণ করে।
অন্য অংশ ছিল কনস্টান্টিনোপ্ল কেন্দ্রিক যার নাম ছিল বাইজান্টিয়াম। বাইজান্টাইন রাজত্বের সময় গ্রিক আগ্রাসী সকল শক্তির মধ্যে হেলেনীয় ভাবধারার প্রভাব সৃষ্টিতে সমর্থ হয় এবং এ সময়েই সিসিলি ও এশিয়া মাইনর থেকে অনেকে গ্রিসে বসতি স্থাপন করে।
একাদশ ও দ্বাদশ শতাব্দীকে গ্রিসে বাইজান্টাইন শিল্পকলার স্বর্ণযুগ বলা হয়।
একটি চুন-পাথরের পাহাড়ের উপর নির্মিত এথেন্স তথা গ্রিসের প্রাচীনতম শহরকেই বলা হয় অ্যাক্রোপোলিস। যেখানে রয়েছে ধর্মীয় উপাসনালয়, নগরদূর্গসহ তৎকালীন রাজার বাসস্থান। একে প্রাচীন গ্রিসের দেব-দেবতার বাসস্থান বললেও ভুল হবে না।