নিউজ ডেস্ক: কারাবন্দি খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এবং সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এ দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, কারান্তরীণ এবং বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৭৫ বয়ষোর্ধ্ব সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবন আজ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে শত শত ডাক্তার এবং নার্স প্রতিনিয়ত করোনাভাইরাসের সুরক্ষা সরাঞ্জমাদি ছাড়া কাজ করছেন এবং হাজার হাজার রোগীর চিকিৎসা করছেন, তারা বেগম খালেদা জিয়ারও চিকিৎসা করছেন। সুতরাং যে কোনো সময় প্রাণঘাতী মহামারী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা ডাক্তার নার্সসহ বেগম খালেদা জিয়ার জীবন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ করতে পারে।
করোনা মারাত্মক ঝুঁকি বিবেচনায় বিভিন্ন দেশে বন্দিদের মুক্তি দেয়া হচ্ছে দাবি করে খোকন বলেন, এই অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারকে ৭৫ বয়ষোর্ধ্ব শারীরিকভাবে মারাত্মক অসুস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষার্থে অনতিবিলম্বে মুক্তি প্রদানের অনুরোধ করছি ও জোর দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বিএনপিপন্থী অন্যান্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালের ২০ মার্চ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাসহ সব মামলায় দেশি আইনজীবীদের সহায়তা করতে ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কার্লাইল নিয়োগ দেয় বিএনপি। এখানেও দলটির নীতি নির্ধারকরা ব্যর্থ হয়েছেন বলে মনে করেন দলটির তৃণমূলের নেতারা।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। এরপর খালেদা জিয়াকে নাজিমুদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। পরে এই মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিএনপি চেয়পারসন ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেয়া। এরপর থেকে তিনি কেবিন ব্লকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।