নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণের মধ্যে ব্যাপক জনসমাগম করে বিয়ে করা সেই সরকারি কর্মকর্তাকে অবশেষে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) ঢাকা বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় থেকে এমন আদেশ জারি করা হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার আমিনপুর ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক শাহিন কবিরকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সেই আদেশে আরও বলা হয়েছে, দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চলাকালীন ৭ এপ্রিল একই উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নে গিয়ে বিয়ের জন্য অধিক জনসমাগম করেছেন পরিদর্শক শাহিন কবির।
‘উক্ত কার্যক্রম বর্তমান আইন ও সরকারি চাকরিবিধি পরিপন্থি বিধায় তাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর বিধি ১২ মোতাবেক চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।’
প্রচলিত বিধি মোতাবেক বরখাস্তকালীন তিনি খোরপোষভাতা পাবেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় নারায়ণগঞ্জকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। এর মধ্যেই গত শুক্রবার (৭ এপ্রিল) লকডাউন ভেঙে ধুমধাম করে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন শাহিন।
পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন। পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোচাইট গ্রামের পিয়ার হোসেনের ছেলে শাহিনের ওইদিন সন্ধ্যায় সোনারগাঁও পৌরসভার গোচাইট গ্রামে এ বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক শাহীন উপজেলার সনমান্দি গ্রামের জামাল উদ্দিনের মেয়ে নাদিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন সেদিন। বিয়ের অনুষ্ঠানটি অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা করা ছিল। সরকারি কর্মকর্তা বিধায় তিনি নিজে ৭০ জন বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে যান। বিয়ে বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে খাওয়া দাওয়াও হয়। সেখানেই কাজী বিয়ে পড়ান।
পরে এলাকাবাসী খবর পেয়ে করোনাভাইরাসের এ পরিস্থিতিতে এত লোক নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে আসায় বরপক্ষের কঠোর সমালোচনা করেন।
এর আগে গত ২৩ মার্চ দেশজুড়ে করোনা আতঙ্কের মধ্যে ধুমধাম করে মেয়ের বিয়ে দেয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন মো. শাহ আলমকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে রেখেছেন।