1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ফ্রান্সের চাহিদাসম্পন্ন পেশার জন্য দরকারি তথ্য সিভি জমার মধ্য দিয়ে ফ্রান্স বিএনপি নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে হতাশা প্রকাশ ভারতের রহস্যজনক মৃত্যু ‘কাটা লাগা’খ্যাত শেফালির আবারো ইরান হামলার হুমকি ট্রাম্পের! ষড়যন্ত্র আর নোংরামি আর যেসব অভিযোগ এনে ‘বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্ম’ ছাড়লেন উমামা প্যারিসে বর্ণিল আয়োজনে স্বরলিপি শিল্পী গোষ্ঠীর মনোমুগ্ধকর বৈশাখী মেলা ফ্রান্সে স্থায়ী হওয়ার দারুণ সুযোগ, দেখুন আবেদন প্রক্রিয়া ফ্রান্সের সিনেট ভবন পরিদর্শনে স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের দল ফ্রান্স বিএনপির আয়োজনে শহীদ জিয়ার ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

করোনা: পরিবারের আয় কমেছে ৭৬ শতাংশ

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১

নিউজ ডেস্ক: করোনাকালে শহর ও গ্রাম মিলিয়ে ৪৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ পরিবার থেকে অন্তত এক জন কাজ হারিয়েছেন বা কাজ পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ নারীপ্রধান পরিবার অর্থনৈতিক অনটনে পড়েছে।

‘বাংলাদেশে ২০২০-এ করোনা চলাকালে সংসারের সেবাকাজের দ্রুত বিশ্লেষণ’ শীর্ষক এক অনলাইন জরিপ উপস্থাপন অনুষ্ঠানে গতকাল শনিবার এই তথ্যগুলো উঠে এসেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭৬ শতাংশ বলেছেন যে, মহামারির সময়ে তাদের পরিবারের আয় কমে গেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি, বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএন উইম্যানের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সোকো ইশিকাওয়া। জরিপের ওপর আলোচনা করেছেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এবং অর্থ বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারি মেহেদী মাসুদুজ্জামান। আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপিএসের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর, একশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীর এবং উইম্যান এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড কেয়ার প্রোগ্রামের ম্যানেজার, অক্সফাম গ্রেট ব্রিটেন সার হল। সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম।

জরিপে অংশগ্রহণকারী উত্তরদাতাদের মধ্যে ৭৬ শতাংশ বলেছেন যে, মহামারির সময়ে তাদের পরিবারের আয় কমে গেছে। ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা আয়কারী ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৮ শতাংশের আয় কমেছে। এর মানে হচ্ছে এই মানুষগুলো দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হয়েছেন। ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয়কারীদের ৭৩ শতাংশের আয়ও হ্রাস পেয়েছে। দেখা গেছে কৃষিনির্ভরগুলো পরিবারগুলোর অবস্থা কিছুটা ভালো থাকলেও যারা অকৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত অর্থাত্ শ্রমজীবী মানুষের অবস্থা বেশি খারাপ।

নারীদের অনেকেই কাজ বা চাকরি হারিয়েছেন। পাশাপাশি বেড়েছে অস্বাভাবিক মাত্রায় ঘরের কাজের চাপ। বাংলাদেশে কাজে নিযুক্ত মানুষের মধ্যে শতকরা ৯১ দশমিক ৩ জন অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। এদের শতকরা ৯৬ দশমিক ৭ জন নারী।

আশ্চর্যজনকভাবে শহরে নারীর কাজ ১২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এই মহামারির সময়ে। শতকরা ৮৫ শতাংশ কর্মজীবী নারী অমূল্যায়িত গৃহস্থালি কাজে অনেকটা সময় দিয়েছেন এবং সেটা চার ঘণ্টারও বেশি সময়। এই সময়ে ঘরের কাজে পুরুষের অংশগ্রহণও বেড়েছে। উত্তরদাতাদের ৮২ দশমিক ৭৮ শতাংশ মনে করেন মহামারি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলেছে।

পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট ফোরাম “ফরমাল রিকগনিশন অব দ্য উইম্যান’স আনকাউন্টেড ওয়ার্ক”-এর উদ্যোগে এই জরিপটি পরিচালনা ও তৈরি করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শারমিন্দ নিলোর্মী।

২০২০ সালে করোনা চলাকালে নভেম্বর মাসে জরিপের কাজ শুরু হয়েছিল, চলেছে জানুয়ারি পর্যন্ত। দেশের ৯টা জেলায় শহরের ও গ্রামের বিভিন্ন পেশা ও বয়সের মানুষের মধ্যে জরিপটি চালানো হলেও জরিপের প্রেক্ষিতের কথা ভেবে নারী উত্তরদাতার সংখ্যা বেশি ধরা হয়েছে। উত্তরদাতাদের মধ্যে ৮৭ শতাংশ নারী ও ১৩ শতাংশ পুরুষ। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ২১৯ জন গ্রামের এবং ২২৪ জন শহরের। উত্তরদাতাদের মধ্যে শতকরা ৪৭ শতাংশ গৃহিণী। বাকিরা অন্য পেশাজীবী।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys