নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাস সাধারণত কাশি, জ্বর, গলা ব্যথা ও শাসকষ্টের মাধ্যমেই শুরু হয় উপসর্গ। সাধারণত রোগের উপসর্গগুলো প্রকাশ পেতে গড়ে পাঁচ দিন সময় নেয়। সাধারণ এসব লক্ষণের পাশাপাশি নিত্য নতুন উপসর্গ দেখা যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। ভাইরাসটি প্রতিনিয়ত নিজেকে পরিবর্তন করায় উপসর্গেও পরিবর্তন ঘটছে। এবার জাপানের চিকিৎসকরা খুঁজে পেলেন করোনার নতুন ১৩ উপসর্গ।
জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাব্য ব্যক্তিদের সতর্ক সংকেত হিসেবে উল্লেখ করে ১৩টি উপসর্গ চিহ্নিত করেছে। সে রকম অবস্থা দেখা দিলে বিলম্ব না করে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে আগে থেকে নিশ্চিত হতে পারলে চিকিৎসাপ্রক্রিয়া যেহেতু সহজ হয়ে যায়, ফলে সেদিক থেকেও এটা হচ্ছে উপকারী এক তালিকা।
১. ঠোঁট বেগুনি রঙের হয়ে যাওয়া
২. দ্রুত শ্বাস নেয়া
৩. হঠাৎ দম বন্ধ হয়ে আসার অনুভূতি
৪. অল্প একটু হাঁটাচলা করাতেই শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
৫. বুকে ব্যথা
৬. শুয়ে থাকতে না পারা, উঠে না বসলে শ্বাস নিতে না পারা
৭. শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
৮. হঠাৎ শব্দ করে শ্বাস নিতে শুরু করা
৯. অনিয়মিত নাড়ির স্পন্দন
১০. মলিন চেহারা
১১. অদ্ভুত আচরণ করা
১২. অন্যমনস্কভাবে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া
১৩. বিভ্রান্ত হয়ে যাওয়া, উত্তর দেওয়ায় অপারগতা।
জাপানে বর্তমানে হালকা উপসর্গ দেখা দেওয়া অনেক রোগীকে বাড়িতে থাকতে কিংবা বিশেষভাবে ব্যবস্থা করে নেওয়া হোটেলে রাখা হচ্ছে। হাসপাতালগুলোর ওপর অযথা চাপ সৃষ্টি হওয়া কিছুটা হলেও কমিয়ে আনতে এই ব্যবস্থা। রোগীদের মধ্যে ১৩টি উপসর্গের যেকোনো একটি দেখা গেলে দ্রুত এদের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে। সূত্র: এনএইচকে ওয়ার্ল্ড।