নিউজ ডেস্ক: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বিশ্বের অনেক তারকা। বিশেষ করে হলিউড তারকাদের এই আক্রান্তের খবরের শিরোনামে এসেছেন বেশি। এরমধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় আসেন ‘ফরেস্ট গাম’ তারকা টম হ্যাঙ্কস ও তার স্ত্রী রিটা উইলসন। তবে ভালো খবর হচ্ছে সম্প্রতি এই ভয়াবহ থাবা থেকে রেহায় পেলেন তারা। একটি সাক্ষাত্কারে টম হ্যাঙ্কস জানিয়েছেন করোনার বিরুদ্ধে তাদের লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা।
শরীরে খুব ব্যথা ছিল টম হ্যাঙ্কসের। সঙ্গে যোগ হয়েছিল দুর্বলতা। কিন্তু রিটা উইলসনকে বেশ ভুগতে হয়েছে বলে জানান এই অভিনেতা। কারণ রিটার শ্বাসকষ্ট ছিল।
রিটা উইলসনও একটি টিভি শোয়ে জানিয়েছেন করোনার দিনগুলোর কথা। তিনি জানান, শরীরে কাঁপুনি দিয়ে হালকা জ্বর ছিল তার প্রাথমিক লক্ষণ। নবম দিনে জ্বর ১০২-এর কাছাকাছি চলে যায়। সময়ের হিসেব ছিল না করোনায় আক্রান্ত থাকার দিনগুলোতে। চিকিত্সকরা ‘ক্লোরোকুইন’ ওষুধ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ওষুধের অনেক বিরূপ প্রভাব পড়েছে রিটার শরীরে।
৬৩ বছর বয়সী অভিনেতা টম হ্যাঙ্কস টুইটারে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। ক্লান্তি, শরীর ব্যথা ও জ্বর অনুভূত হওয়ায় তারা করোনা টেস্ট করান এবং রিপোর্ট পজিটিভ আসে। চিকিত্সার জন্য টম হ্যাংকস ও তার স্ত্রী রিটা উইলসনকে অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলের একটি হাসপাতালে রাখা হয়েছিল। করোনার চিকিত্সা নেওয়ার পর শঙ্কামুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে তারা কুইন্সল্যান্ডের একটি বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। করোনা মুক্ত হয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরেছেন তারা।
প্রয়াত পপস্টার এলভিস প্রেসলির জীবনের ওপর একটি ছবির শুটিংয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় ছিলেন টম হ্যাংকস। ছবিতে তিনি এলভিসের ম্যানেজারের ভূমিকায় অভিনয় করছেন।
এছাড়াও ব্রিটিশ অভিনেতা ও মিউজিশিয়ান ইদ্রিস এলবা গত মাসে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। এরপর চিকিত্সার মধ্য দিয়ে করোনাকে জয় করলেন তিনিও। ইদ্রিস বলেন, ‘এই ধরনের সময় শুধু আমার জন্য নয়, পুরোবিশ্বের কাছে নতুন। শুরুর দিকে ভয় পেলেও মনোবল হারাইনি। কী হবে জানতাম না। তবে জীবনের জন্য যে মায়া আমাদের সবার মাঝে কাজ করে সেটি মৃত্যুর একবারে কাছে না গেলে হয়তো বোঝা যায় না। আসলে সবকিছু কঠিনভাবে দেখতে চাই না। পুরোবিশ্ব এখন যে অবস্থায় আছে সেখান থেকে আমাদের ফিরে আসতে যেমন সচেতনতা প্রয়োজন। তেমনি দরকার মনোবল।’
হলিউড তারকা ওলগা কুরিলেনগো ২২ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হন। তিনিও সম্প্রতি জয় করেন এই ভাইরাস। ওলগা বলেন, ‘অসহায়ের মতো লাগছিল সবকিছু। শুধু যে ঘরবন্দি হয়ে আছি এমনটা না। মনে হচ্ছিল পুরো পৃথিবীটা আমার জন্য এক ঘর। যেখানে আমি বন্দি। কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। জীবনটা এভাবে কখনো দেখা হয়নি। নতুন করে ফিরে এলাম। আরও কনফিডেন্স নিয়ে। সবার পাশে থাকতে চাই। কাছে মানুষদের আরও বেশি করে সময় দিতে চাই। মানুষকে আরও বেশি ভালোবাসতে চাই। এই সময়টা আমাকে এই উপলব্ধিগুলো জাগিয়ে দিয়েছে।’