নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের উৎপত্তি প্রাকৃতিকভাবে নাকি কোনো গবেষণাগার থেকে এটি ছড়িয়ে পড়েছে সে সন্দেহ দূর করতে বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জোরাল আহ্বানের মুখে এবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাতে সমর্থন জানালেন।
তিনি বলেন, ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে চলে আসার পরে বিষয়টি সামগ্রিকভাবে খতিয়ে দেখা যেতে পারে। এ ধরনের তদন্ত অবশ্যই ‘বস্তুনিষ্ঠ এবং নিরপেক্ষভাবে’ হতে হবে।
সোমবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচএ) পরিচালনা পরিষদের বৈঠকের উদ্বোধনী বক্তব্যে একথা বলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি।
করোনাভাইরাসের উৎপত্তির বিষয়টি তদন্ত করে দেখার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বানে একজোট হয়েছে আরো প্রায় ১শ’ টি দেশ।
করোনাভাইরাস কোথা থেকে এল, তা তদন্তে যৌথভাবে খসড়া প্রস্তাবনা এনেছে অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তাতে সমর্থন দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, কানাডা, ব্রিটেন, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিল এবং ভারত-সহ আরো বহু দেশ।
এ প্রস্তাবনায় সুনির্দিষ্টভাবে চীনের নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলো করোনাভাইরাস নিয়ে তথ্য লুকোচাপা করার জন্য বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছে।
চীন এ সমস্ত অভিযোগ এবং ভাইরাসের উৎপত্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখার এমন উদ্যোগ চীনকে দোষারোপ করারই চেষ্টা বলে অভিযোগ করে এসেছে। প্রত্যাখ্যান করে এসেছে তদন্তের বিষয়টিও। এবার দেশটি সে অবস্থান থেকে সরে এল।
সোমবার জেনেভায় ডব্লিউএইচও’র বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি বলেন, ২০১৯ সালের শেষে হুবেই প্রদেশে শুরু হওয়া করোনাভাইরাস নিয়ে চীন খোলামেলা ছিল এবং স্বচ্ছতা বজায় রেখেছে। বিষয়টির নিরপেক্ষ তদন্তও সমর্থন করে তার দেশ।
তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এ মুহূর্তে এ ভাইরাস সংক্রমণ দূর করা এবং সহযোগিতা করার ওপরই জোর দেওয়া উচিত- সে কথাও ফের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন শি। করোনাভাইরাস মোকাবেলার লড়াইয়ে চীন ২শ’ কোটি ডলার সহায়তা দেবে বলেও জানান তিনি।
করোনাভাইরাসের উৎপত্তি তদন্তের যৌথ প্রস্তাবনা নিয়ে সোমবারই ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। তবে চীন এতে ভোট দেবে কিনা সে ব্যাপারে শি তার বক্তব্যে কোনো আভাস দেননি।
ওদিকে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সোমবার এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে তদন্ত শুরুর সময় এখনো আসেনি।