নিউজ ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জ সদরের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে।
শনিবার দিবাগত রাত পর্যন্ত দগ্ধ ৩৭ জনের মধ্যে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে দগ্ধদের চিকিৎসা চলছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মৃতদের মধ্যে রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আবদুল মালেক (৬২), মিজান হোসেন নিজাম (৪০), নাদিম (৪৫) ও দিবাগত রাতে শামীমের (৪৫) মৃত্যু হয়।
নিহত অন্যরা হলেন- মোস্তফা কামাল (৩৪), নারায়ণগঞ্জ কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. রিফাত (১৮), গার্মেন্টকর্মী মো. রাসেদ (৩০), দুই সন্তানের জনক হুমায়ুন কবির (৭০), গার্মেন্টকর্মী ইব্রাহীম বিশ্বাস (৪৩), জুয়েল, সাব্বির (২১), মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. দেলোয়ার হোসেন (৪৮) ও তার সন্তান জুনায়েদ (১৭), চাকরিজীবী মো. জামাল আবেদিন (৪০), কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন (১২), জয়নাল (৫০), কাঞ্চন হাওলাদার, গার্মেন্টকর্মী নয়ন, ৭ বছরের শিশু জুবায়ের, ওয়ার্কশপ শ্রমিক রাসেল (৩৪) ও মো. বাহাউদ্দিন (৫৫), মো. মিজান (৪০), মসজিদের ইমাম আবদুল মালেক নেসারি (৫৫) ও ফটো সাংবাদিক নাদিম হোসেন (৪৫)। মৃতদেহগুলো সবুজবাগ মাঠে নেয়া হয়। সেখান থেকে হস্তান্তর করা হয় স্বজনদের কাছে।
এর আগে বিকাল ৩টা থেকে এ ঘটনায় নিহত ১৬ জনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক ও জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদ পারভেজ চৌধুরী উপস্থিত থেকে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক মুসল্লি দগ্ধ হন।
বিস্ফোরণে মসজিদের ছয়টি এসি পুড়ে গেছে। জানালার কাচ উড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৭ জনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৬ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একজনের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।