নিউজ ডেস্ক: আগ্রাসন চালিয়ে দখলে নেওয়া ইউক্রেনের খেরসন ও মরিপোল শহরের বাসিন্দাদের পাসপোর্ট দিচ্ছে রুশ সরকার। স্থানীয় সময় শনিবার এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো খেরসনের ২৩ বাসিন্দার হাতে পাসপোর্ট তুলে দেওয়া হয়। রুশ বার্তাসংস্থা তাসের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে, রাশিয়ার পাসপোর্ট দেওয়া নিয়ে নিন্দা জানিয়েছে ইউক্রেন। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রশাসন বলছে, এভাবে পাসপোর্ট দেওয়ার মাধ্যমে এসব শহরের বাসিন্দাদের রাশিয়ার নাগরিক বানাচ্ছে মস্কো। এর মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতার ‘প্রকাশ্য লঙ্ঘন’ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি।
খেরসনের হাজারো বাসিন্দা রাশিয়ার পাসপোর্ট পেতে আবেদন করেছিলেন বলে তাস প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। খেরসনে রাশিয়ার নিযুক্ত সামরিক গভর্নর ভলোদিমির সালদো বলেছেন, শহরটির বাসিন্দারা যত দ্রুত সম্ভব রাশিয়ার নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট পেতে আগ্রহ দেখিয়েছেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিযানের পর থেকে রাশিয়ার দখলে যাওয়া সব অঞ্চলে রুশ পাসপোর্ট দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ইউক্রেন। এভাবে এসব অঞ্চলের মানুষকে রাশিয়ার নাগরিক বানিয়ে তাদের ‘রক্ষার’ দাবি তুলতে পারে ক্রেমলিন।
ইউক্রেনে রুশপন্থী সরকারের পতনের পর ২০১৪ সালে দেশটির ক্রিমিয়া অঞ্চল দখল করে নেয় রাশিয়া। একই বছরে পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে ‘প্রজাতন্ত্র’ হিসেবে ঘোষণা করেন মস্কোপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। এসব অঞ্চলের বাসিন্দাদেরও রুশ পাসপোর্ট দেওয়া শুরু করেছিল রাশিয়া।
ক্রিমিয়া এবং রুশ নিয়ন্ত্রিত লুহানস্ক ও দোনেৎস্কে মস্কো রুবলের ব্যবহারও শুরু করেছে বলে বিবিসি জানিয়েছে। শুধু তাই নয় এ অঞ্চলের স্কুলগুলোতে রাশিয়ার পাঠ্যক্রম চালু করতে শক্তি খাটানো হচ্ছে। তবে খেরসনের বাসিন্দারা রুবল ব্যবহারের নির্দেশ মানছেন না বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।