হুসাইন মুহাম্মাদ: সপ্ন যেন এসে হাজির হাতের মুঠোয়। তাই উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা আর ভালোবাসার নেই কোন সীমানা। সপ্নের বাহন মেট্রোরেল যেন তার-ই এক জলজ্ব্যান্ত প্রমাণ। সে এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সাতটি স্টেশন। নিজের উপস্থিতির জানান দিচ্ছে গোটা নগরবাসীকে।

গত ২৮ ডিসেম্বরে সীমিত পরিসরে স্বপ্নযাত্রার শুরু। এরপর থেকেই ক্রমেই বাড়ছে মেট্রোরেলের পরিধি। দুটি স্টেশন দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও এখন সচল সাতটি।

স্টেশনের গেটগুলো খুলে দেওয়ার পর থেকে, লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহের প্রতিযোগিতা। কাঙ্খিত সেই টিকিট পাওয়ার পরে যে-ই আনন্দ, তা ছড়িয়ে পরে প্রতিটি যাত্রীর হৃদয়ে।

মেট্রোরেল উদ্বোধনের পর গত তিন মাসে ৬ কোটি ২০ লাখ টাকা আয় হয়েছে। অন্যদিকে পরিচালনায় ব্যয় হয়েছে ৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। যার বেশিরভাগ বিদ্যুৎ বিল। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রে আরও জানা যায়, এই তিন মাসে অর্থাৎ ২৯ মার্চ পর্যন্ত মেট্রোরেলে যাত্রী পরিবহন হয়েছে ১০ লাখ ৭৭ হাজার।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) থেকে প্রথম পর্বের ৯টি স্টেশনেই থেমেছে মেট্রোরেল। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে চালু হয়েছে শেওড়াপাড়া আর উত্তরা মধ্য স্টেশন। এছাড়া এপ্রিলের পাঁচ তারিখ থেকে বাড়বে মেট্রো চলাচলের সময়।

ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছিল, মার্চেই উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রথম অংশের ৯টি স্টেশনই চালুর পরিকল্পনা তাদের। সেই হিসেবে ৩১ মার্চ চালু হচ্ছে এই পথের শেষ দুটি স্টেশন শেওড়াপাড়া আর উত্তরা মধ্য স্টেশন। সকাল সাড়ে আটটা থেকে শুরু হয়ে চলবে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত।