নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে আমরণ অনশনের ঘোষণা থেকে সরে এসেছেন ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রীরা। সোমবার সকালে কলেজ গেটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আমরণ অনশনের এই ঘোষণা দিয়ে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর কার্যালয় যান ১২ বহিষ্কৃত নেত্রী। ঘণ্টাখানেক পর কার্যালয় থেকে বেরিয়ে অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের কথা জানান তারা। কি কারণে অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন সেটাও জানাননি তারা।
এর আগে আজ সকালে ইডেন কলেজে দুগ্রুপের সংঘর্ষের পুরো ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানান তারা। এসময় বহিষ্কৃত ১৬ জন নেতাকর্মীর অধিকাংশই উপস্থিত ছিলেন। তারা বলেন, গতকাল দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হলেও একচেটিয়াভাবে একটি পক্ষের সবাইকে বহিষ্কার করা অন্যায় হয়েছে। হাজার হাজার অভিযোগ থাকার পরও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা না নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তার নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলেও বহিষ্কৃত নেত্রীরা অভিযোগ করেন। কার ইন্ধনে এই গণবহিষ্কারাদেশের ঘটনা ঘটেছে সেটি খুঁজে বের করার পাশাপাশি ইডেন কলেজের চলমান অস্থিরতা নিরসনে তারা প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা না হলে ধানমন্ডিতে অবস্থিত আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ের আমরণ অনশনের হুমকি দেন এই নেত্রীরা।
এর আগে গতকাল বিকেলে চলমান নানা ঘটনা নিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাতে ইডেন কলেজ ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও অসাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানের সংবাদ সম্মেলনে আসলে তাদের সাথে বিদ্রোহীদের সাথে সংঘর্ষ বাধে। এতে রিভাসহ অন্তত ১০ জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী আহত হন।
পরে দুই শীর্ষ নেত্রীকে পুলিশি পাহারায় ক্যাম্পাস থেকে বের করা হয়। এরপর গতকাল দিবাগত রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ জন নেতা কর্মীকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
যাদের সবাই বিদ্রোহী অংশের সমর্থনে মাঠে ছিলেন। একইসাথে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ কমিটির কার্যক্রম স্থগিত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।