নিউজ ডেস্ক: স্কুলে ফাইনাল পরীক্ষার আগেই এইচআইভি পরীক্ষা দিতে হয়েছিল! জীবনের গোপন এই তথ্য ফাঁস করলেন ভারতীয় ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান। তবে কেন এমনটি করেছিলেন তিনি?
এক সাক্ষাৎকারে ধাওয়ান জানান, বাবা-মাকে না জানিয়ে মনের ইচ্ছা পূরণ করেছিলেন ধাওয়ান। তবে মনের আনন্দে শখ মেটালেও পরে এইডসের আতঙ্কে ভুগতে হয়েছিল কিশোর বয়সেই। খবর জি নিউজের।
আইপিএলের দল পাঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক বলেন, ‘তখন আমার বয়স ১৪ বা ১৫। বাড়িতে না বলে মানালি গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে পিঠে একটা ট্যাটু করাই। সেটা বাবা-মার কাছে প্রায় তিন-চার মাস লুকিয়ে রেখেছিলাম। পরে বাবা জানার পর খুব মেরেছেল। ট্যাটুটা করে ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তখন অত বুঝতাম না। যে সুচ দিয়ে আমাকে ট্যাটু করে দেওয়া হয়েছিল, সেটা আরও কত জনের শরীরে ব্যবহার করা হয়েছিল জানতাম না। বিষয়টা বোঝার পর খুব ভয় লেগেছিল। যদি এইডস হয়! সে জন্য এইচআইভি পরীক্ষা করিয়েছিলাম। পরীক্ষার ফল কিন্তু নেগেটিভ হয়েছিল।’
যদিও বাঁহাতি এই তারকা পরে নিজের শরীরে বেশ কয়েকটি ট্যাটু করিয়েছেন। প্রতিটি ট্যাটুর মানেও বলেছেন তিনি, ‘প্রথম ট্যাটুটা করাই পিঠে। সেটা একটা কাঁকড়া বিছের ছবি। তখন ওটাই পছন্দ হয়েছিল। পরে ওটার ওপর আরও নকশা করিয়েছি। দ্বিতীয় ট্যাটু করাই হাতে। সেটা শিবের ছবি। আরও একটা ট্যাটু আছে। সেটা অর্জুনের।’
ধাওয়ান ভারতীয় দল থেকে বর্তমানে ছিটকে গিয়েছেন। আপাতত তার লক্ষ্য আইপিএলে নিজের সেরাটা দেওয়া। পঞ্জাবকে প্রথম বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করতে চান অধিনায়ক হিসাবে।