নিউজ ডেস্ক: রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. শাহেদকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরে তাকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদিকে করোনা চিকিৎসার নামে প্রতারণার দায়ে সাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে চাইবে ডিবি।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে সাহেদকে আদালতে তুলে এ রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে আজ বুধবার ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম জানান, রিজেন্টের প্রতারণার মামলাটি ডিবি তদন্ত করছে। মামলার প্রধান আসামি রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ বর্তমানে ডিবি হেফাজতে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হবে। সাহেদকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হবে।
এদিকে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে সাহেদকে ঢামেক হাসপাতাল থেকে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর আগে বুধবার বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে ঢামেকে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ছাড়া ঢামেক জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. আলাউদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এক্সরে ও ইসিজি রিপোর্ট ভালো এসেছে।
ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জানান, সাহেদের সঙ্গে এসময় মাসুদ পারভেজ নামে আরেকজন ছিলেন।
এর আগে বুধবার (১৫ জুলাই) ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তিন ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
এর আগে গ্রেপ্তার এড়াতে কয়েক দিন ধরেই সাহেদ নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেছিলেন। অর্থাৎ একদিন এ জায়গায় তো পরদিন অন্য জায়গায়। র্যাব তাকে ফলো করে। গ্রেপ্তার বিষয়ে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, সে ঢাকা ছেড়েছে আবার ঢাকায় ফিরেছে, আবার বেরিয়েছে। এসবের মধ্যেই ছিল। এই পুরো সময়টাতে সে কখনও ব্যক্তিগত গাড়ি, কখনও হেঁটে, কখনও ট্রাকে চলাচল করেছিল। অবশেষে নৌকা দিয়ে পার হওয়ার সময় আমরা তাকে ধরতে সক্ষম হয়েছি’।