1. ph.jayed@gmail.com : akothadesk42 :
  2. admin@amaderkatha24.com : kamader42 :
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে হতাশা প্রকাশ ভারতের রহস্যজনক মৃত্যু ‘কাটা লাগা’খ্যাত শেফালির আবারো ইরান হামলার হুমকি ট্রাম্পের! ষড়যন্ত্র আর নোংরামি আর যেসব অভিযোগ এনে ‘বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্ম’ ছাড়লেন উমামা প্যারিসে বর্ণিল আয়োজনে স্বরলিপি শিল্পী গোষ্ঠীর মনোমুগ্ধকর বৈশাখী মেলা ফ্রান্সে স্থায়ী হওয়ার দারুণ সুযোগ, দেখুন আবেদন প্রক্রিয়া ফ্রান্সের সিনেট ভবন পরিদর্শনে স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের দল ফ্রান্স বিএনপির আয়োজনে শহীদ জিয়ার ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন সাফ আয়োজিত প্যারিসে ৬ষ্ঠ বারের মতো বাণিজ্য মেলা ‘ঈদ বাজার ২০২৫’ ‘আমাদের কথা’ সংবর্ধনা দিল ফ্রান্স ক্রিকেট বোর্ড’র বাংলাদেশি সদস্যদের

মেয়ে হওয়ায় ৫০ হাজার টাকার ফুচকা খাওয়ালেন বাবা

আমাদের কথা ডেস্ক
  • আপডেট : রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

নিউজ ডেস্ক: কন্যাসন্তানের জন্ম দিলে যে সমাজে এখনও অনেক পরিবারে কটু কথা শুনতে হয় মাকে, অনেক ক্ষেত্রে শিশুকন্যা হত্যার ঘটনাও প্রায়ই ঘটে, সেই সমাজে ব্যতিক্রমী নজির সৃষ্টি করেছেন এক ফুচকা বিক্রেতা।

কন্যাসন্তানের জন্মের খুশিতে ভূপালবাসীকে বিনামূল্যে ফুচকা খাইয়েছেন তিনি! ফুচকা খাওয়াতে ৫০ হাজারেরও বেশি টাকা খরচ করে ফেলেছেন মেয়ে হওয়ার আনন্দে।

অঞ্চল গুপ্ত নামে এ লোকটি ভূপালের কোলার এলাকায় ফুচকা বিক্রি করেন। মাত্র অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন তিনি। যদিও পুঁথিগত বিদ্যা দিয়ে তার মানসিকতা যাচাই করা বোকামি হবে।

চলতি বছরের ১৭ আগস্ট তার কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। এটি অঞ্চল গুপ্তের দ্বিতীয় সন্তান। বছর দুয়েক আগে তার স্ত্রী এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। তখনও কন্যাসন্তান চেয়েছিলেন অগুপ্ত। দ্বিতীয় সন্তান কন্যা হওয়ায় যেন স্বপ্নপূরণ হয়েছে তার।

বাঁধভাঙা খুশিতে প্রথম সন্তানের জন্মদিনের দিনই কন্যাসন্তানের জন্মের আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি। তাই আগে থেকেই তার দোকানে আসা সব ক্রেতাকে বিনামূল্যে ফুচকা খাওয়ানোর দিনক্ষণ জানাতে শুরু করেছিলেন।

ওই বিশেষ দিন বিনামূল্যে ফুচকা খাওয়ানোর কথা ঘোষণা করে একটি বোর্ডও ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন অঞ্চল। কথামতো সম্প্রতি বিনামূল্যে ফুচকা খাইয়ে কন্যাসন্তানের জন্ম উদযাপন করলেন।

বিনামূল্যে ফুচকা খাওয়ার খবর ঝড়ের গতিতে গোটা ভূপালে ছড়িয়ে পড়ে। ওই দিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার দোকানের সামনে রীতিমতো ফুচকাপ্রেমীদের লাইন পড়ে গিয়েছিল।

রাস্তার পাশে যেখানে ফুচকার ঠেলাগাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি, তার পাশেই বসে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন অঞ্চল।

মানুষের খাবার সুবিধার্থে কয়েকটি টেবিলও পেতে দিয়েছিলেন। প্রতি টেবিলে এক ঝুড়ি করে ফুচকা এবং তেঁতুল জল ও অন্যান্য সামগ্রী রেখে দিয়েছিলেন। সবাইকে পরিবেশন করা তার একার পক্ষে সম্ভব ছিল না। তাই যাতে প্রয়োজনমতো ফুচকা টেবিল থেকেই নিয়ে খেয়ে নিতে পারেন অতিথিরা, সে দিকে বিশেষ নজর ছিল তার।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

নিউজটি শেয়ার করুন

এই জাতীয় আরো খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Maintained By Macrosys