নিউজ ডেস্ক: কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ঝুঁকিপূর্ন বৃটিশ নাগরিকদের ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক। এই ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম তিনি নিজেই পরিচালনা করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। গত সপ্তাহেই ফাইজারের ভ্যাকসিন নিয়ে আশার বাণী শুনিয়েছিলেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, ফাইজার ও বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনই সবার আগে অনুমোদন পেতে যাচ্ছে বৃটেনে। সেক্ষেত্রে ১লা ডিসেম্বর থেকেই হয়তো ঝুকিপূর্ন বৃটিশ নাগরিকদের ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হতে যাচ্ছে। এ খবর দিয়েছে ডেইলি মেইল।
গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, বৃটিশ কর্মকর্তারা এখন ঔষধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছেন। বর্তমানে ফাইজারের ভ্যাকসিনের পরীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্যের বিশ্লেষণ চলছে। লাখ লাখ মানুষ এখন এই ভ্যাকসিনের ‘গ্রীন লাইট’ পাবার আশায় বসে আছেন।
বৃটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী শুক্রবার বলেন, তিনি আশা করেন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভ্যাকসিন মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। সম্মুখযোদ্ধা ও বৃদ্ধসহ যারা করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন তাদেরকে প্রথমে এই ভ্যাকসিন কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে। এরপরই তিনি জানান, এই কার্যক্রম তিনি নিজেই ব্যাক্তিগতভাবে দেখভাল করবেন। বর্তমানে তিনি প্রতি সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করছেন। এনএইচএস এই ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনা করবে আর সার্বিক বিষয় দেখভালের দায়িত্ব থাকবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাতে।
এনএইচএসে এরইমধ্যে কিছু মানুষকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে যারা দিনরাত এই ভ্যাকসিন কার্যক্রম সফল করার পেছনে সময় দিচ্ছেন। এতে প্রতিদিন ১০ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া যাবে এমন টার্গেট হাতে নেয়া হয়েছে। একে ঐতিহাসিক কার্যক্রম বলে আখ্যায়িত করেন ম্যাট হ্যানকক।