নিউজ ডেস্ক: মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুলের গ্রেফতারের দায় সরকার এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন,মানবপাচার ও হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে কুয়েতে লক্ষীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।যা বাংলাদেশের জন্য চরম লজ্জার হলেও সরকারের টনক নড়েনি। গালফ নিউজ ও কুয়েতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর মানব পাচার ও অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন জালিয়াতিতে জড়িত অভিযোগে অন্তত একশ’ব্যক্তির তালিকা করেছে কুয়েত সরকার। সেই তালিকায় ওই সংসদ সদস্যের নাম শীর্ষে রয়েছেন। সম্প্রতি ওই তালিকার অনেককেই গ্রেফতার করেছে দেশটির গোয়েন্দা বিভাগ। সেই অভিযানেই আটকা পড়েন সংসদ সদস্য পাপলু। বর্তমানে তিনি সেদেশে রিমান্ডে রয়েছেন।
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন,দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেকটাই অপরিচিত, শুধু পাপলুই একাই এমপি হননি, তার স্ত্রীকেও এমপি বানিয়েছেন। যাদের ধনস্ফীতির কোনো বৈধ উৎস জানা যায় না, তাদেরকেই রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে-প্রকৃত রাজনীতিক ও রাজনীতিকে ধ্বংস করে। এরা ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই জনগণই ক্ষমতার উৎসকে বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গন থেকে বিদায় করে পাপলুদের পরিচর্যা করা হয়েছে নিরন্তরভাবে।পাপলুদের অপকর্মের দায় সরকার এড়াতে পারে না।
সরকারের বিরুদ্ধে টাকা পাচারের অভিযোগ করে তিনি বলেন,বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচারের হিড়িক চলে। বর্তমানে এমপি হতে ভোটের প্রয়োজন হয় না। নির্বাচনের আগের রাতেই নির্বাচনে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাই রাতের ভোটে এমপি বানিয়ে দেন। লক্ষীপুরের সেই এমপি তারই একটি উদাহারণ।
তিনি বলেন, বিগত ১২ বছরে সুইস ব্যাংকসহ মালয়েশিয়া, কানাডায় লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ব্যাংক লুট, শেয়ার বাজার লুট, মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকার মহাদুর্নীতি, দখল ও নিয়োগবানিজ্যের মাধ্যমে দেশজুড়ে যে লুটের মহোৎসব চলছে কুয়েতে এমপি গ্রেফতার তারই একটি নমুনা মাত্র।