নিউজ ডেস্ক: আগে থেকেই বিশেষজ্ঞরা বলে আসছিলেন, ধূমপায়ীদের থেকে পরোক্ষ ধূমপায়ীদের ক্ষতি বেশি। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের গবেষকরা এবার বলছেন, কোনো ঘরে যদি একজন ধূমপান করেন, তাহলে ওই ঘরের অন্যদেরই বেশি ক্ষতি হয়। এমনকি পাশের ঘরে থাকা অধূমপায়ীদেরও ক্ষতি হয়।
বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তি, গর্ভবতী নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তামাকের ধোঁয়া থেকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধূমপায়ীরা ধোঁয়ার কিছু অংশ গ্রহণ করেন। কিন্তু ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ ধোঁয়া বেশি ক্ষতিকর। এটা বাতাসের সঙ্গে মিশে সম্পূর্ণটাই শ্বাসযন্ত্রে প্রবেশ করে।
বুরুজ মেডিক্যাল সিটির চিকিৎসক ড. ফাতহি গিউরানি বলেন, ধূমপায়ী এবং অধূমপায়ীর স্বাস্থ্যের ওপর তামাকের প্রভাব সমানহারে পড়ে। কারণ, পরোক্ষাভাবে অধূমপায়ীর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে তামাকের ধোঁয়া।
তিনি আরো বলেন, ধূমপানজনিত কারণে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। ‘প্যাসিভ স্মোকার’রা এক্ষেত্রে নিরাপদ নয়। কেউ যদি আপনার পাশে সিগারেট টানে, আপনি সেই ধোঁয়া বাতাসের মাধ্যমে গ্রহণ করছেন। সে ক্ষেত্রে আপনি গ্রহণ করছেন সেকেন্ড হ্যান্ড ধোঁয়া। যা আরো ক্ষতিকর।
এক্ষেত্রে পার্শ্ব ধূমপায়ীরা ফুসফুসের ক্যান্সার, ফুসফুসের সমস্যা, দাঁতের সমস্যা, হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকেন। তবে গর্ভবতী নারী এবং শিশুদের পাশে ধূমপানের ফল মারাত্মক হতে পারে।
ফাতহি গিউরানি বলেন, এক্ষেত্রে নারীর গর্ভপাত এবং শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়। অনেকাংশে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হতে পারে।